প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২২, ২১:০৮
চাঁদপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
কোনো বাধাই বিএনপিকে আটকাতে পারবে না : অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। ২০ অক্টোবর বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, জামিন বাতিল করে নেতা-কর্মীদের কারাগারে প্রেরণ, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
আসর নামাজের পর বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৃথক মিছিল করে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ শামসুল ইসলাম মন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লিটন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডঃ মনিরা চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সরোয়ার গাজী প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিমুছ সালাম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদির বেপারী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিব ভূঁইয়া, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এইচএম ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সমাবেশে অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম বলেন, কোনো বাধাই বিএনপির চলমান আন্দোলনকে আটকাতে পারবে না। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর খুলনাতেও বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। হরতাল ও কার্ফু দিয়ে তা ঠেকানো যাবে না। ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিভাগীয় সমাবেশ হবে। আমরা চাঁদপুর থেকে সেই সমাবেশ সফল করবো।
মাহবুব আনোয়ার বাবলু বলেন, বিএনপিকে দমানোর জন্য যে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলায় নেতা-কর্মীদের ধরা হচ্ছে। সরকার যতো ইচ্ছা ধরতে থাকুক, ধরতে ধরতে এক সময় জেলখানার প্রাচীর ভেঙ্গে যাবে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আসবে।
তিনি বলেন, আজকে মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, তবে কারেন্ট আছে হাট-বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে। চাল, ডাল, তেল, আটা-ময়দা, মাছ, মাংস, তরিতরকারি সব জিনিসেই কারেন্ট। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের কথা চিন্তা করে অটোমেটিক জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে।