প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ২৩:১১
হাজীগঞ্জে যুবদলের ১৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
নিজেদেরকে ত্যাগী দাবি করে আর দলের কাছে মূল্যায়িত না হওয়ার কারন দেখিয়ে হাজীগঞ্জে যুবদলের ১৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ করেছেন। আজ ২৪ জুলাই শনিরার সন্ধ্যার পরপরই সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদত্যাগী নেতাকর্মীগণ।
|আরো খবর
ঘটনাটি উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটির। সম্প্রতি কমিটি ঘোষণা দেয়া হলে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই সকল নেতাকর্মীদের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন বলে চাঁদপুর কন্ঠকে জানান হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আক্তার হোসেন দুলাল।
জানা যায়, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের নব-গঠিত আহবায়ক কমিটিতে আহবায়ক,যুগ্ন আহবায়কসহ সসস্য করা হয় ৩২ জনকে। কমিটিতে যাদেরক পদ পদবি দেয়া হয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়িত করা হয়নি। দলের যারা মামলা হামলার শিকার হয়ে জেল জুলুম সহ্য করে রাজনীতি করছে এমন ত্যাগীদের পদ পদবি দিতে কার্পন্য করা হয়েছে বলে দাবী করে পদত্যাগীজনেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির মধ্যে ১৭ জন পদত্যাগ করেছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে ৫ জন আছেন যারা যুগ্ন আহবায়কের পদ পেয়েছেন। বিষয়টি চাঁদপুর কন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন আহবায়ক কমিটির সিনিযর যুগ্ম আহবায়ক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ খন্দকার।
পদত্যাগকৃত অন্যরা হলেন : ইউনিয়ন যুবদলের নব-গঠিত আহবায়ক কমিটির সিনিয়ন যুগ্ম আহবায়ক মো. মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহাদাত মজুমদার, মো. জিসান সর্দার, মো. কবির খান ও মো. মাসুদ মিয়াজী, সদস্য মো. মাসুদ খান, মো. রুবেল মোল্লা, মো. মহিউদ্দিন রিপন মজুমদার, মো. জয়নাল আবেদীন কাজী, মো. আরিফুল ইসলাম সুজন. মো. মনির হোসেন, মো. এমরান হোসেন. মো. মাসুদুর রহমান, মো. ওমর, মো. জুয়েল পন্ডিত, মো. কাউছার আলম, মো.আলা-আমিন প্রধানীয়া ও ডা.ইকবাল হোসেন বাদল।
পদত্যাগের বিষয়ে মাসুদ খন্দকার বলেন, গত ৯ জুলাই ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম আমাদের ইউনিয়নে যুবদলের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদান দেওয়া হয়েছে। উক্ত কমিটিতে আমিসহ উল্লেখিত ৫ জন যুগ্ম আহবায়ক ও ১২ জন সদস্য রয়েছে। উল্লেখিত কমিটি দেখে আমরা মর্মামত এবং ব্যথিত হয়েছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যাদের গুরুত্বপূর্ন পদবী দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা পূর্বে কোনো কালেই আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো না। গত জাতীয় নির্বাচনে (২০১৮) তারা এলাকায় আসেনি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে। এ ছাড়াও যাকে আহবায়ক করা হয়েছে তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা একটি লোহার দোকানের কর্মচারী এবং যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
ঘোষিত আহবায়ক কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষনার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া ও আমরা হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হকের নেতৃত্বে রাজনীতি করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো। দলীয় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও ইঞ্জি. মমিনুল হকের দিক-নির্দেশনা মেনে চলবো বলে জানান মাসুদ খন্দকার।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আক্তার হোসেন দুলাল জানান, তারা আমার কাছে পদত্যাগের কাগজ জমা দিয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেইনি।