শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২২, ০০:০০

মধ্য বয়সী নারীর সতর্কতা
অনলাইন ডেস্ক

সব বয়সেই নারীর সতর্কতা জরুরি। মধ্য বয়সী নারী বলতে আমরা বুঝি যাঁরা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে রয়েছে। এই বয়সে অধিকাংশ নারী সংসার জীবনে থাকে। তাদের ছেলেমেয়ে বড় হয়ে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। কেউ কেউ ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সামাজিক নানা ঘটনায় মধ্য বয়সী একা নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের প্রতি কুনজর দেয়ার লোকজন জুটে যায়। এই বয়সে নারীর মেনোপজ হবার কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হতে থাকে। মধ্যবয়সী অল্প কিছু সংখ্যক নারী চাকুরি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত থাকে। আবার কেউ কেউ স্বামীর অবর্তমানে সংসারের হাল ধরেন। মধ্যবয়সে এসে নারী প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাব মিলাতে বসে।

ফেলে আসা দিনগুলোতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে সেসব চোখের সামনে ভাসতে থাকে। পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে কী ধরনের অসহযোগিতা পেয়েছে সেসব কথা প্রায়ই মনে পড়ে। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। নারীর হাতে সঞ্চিত অর্থ স্বামী সন্তান, ভাই-বোনের প্রয়োজন মেটাতে ব্যয় হবার সম্ভাবনা থাকে। এমনিতেই নারীর হাতে সহায় সম্বল কম থাকে, তার ওপর পারিবারিক সঙ্কট হলে তাকে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয়।

মধ্য বয়সী নারীদের কেউ কেউ একঘেঁয়ে ভালোবাসাহীন দাম্পত্য জীবনে হাঁফিয়ে উঠেন। আবার সামাজিক পারিবারিক কারণে দাম্পত্য অবসানে সাহসী হতে পারেন না। ফলে বিরক্তিকর অসম্মানজনক দাম্পত্য যাপনে বাধ্য হতে হয়।

নিজের অতৃপ্ত আকাক্সক্ষা মেটাতে কেউ কেউ পুরুষ বন্ধু বানিয়ে ফেলেন। পুরুষ বন্ধুর সামাজিক ও আইনগত স্বীকৃতি না থাকায় অনেকটা গোপনেই বন্ধুত্ব চলে। এসবকে কেন্দ্র করে হত্যা, আত্মহত্যা, পারিবারিক ভাঙ্গন, তালাক, নির্যাতন বেড়ে যায়। পুরুষ বন্ধুদের কেউ কেউ নারীর সহায় সম্বল হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। অতি মুনাফার লোভে গোপনে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া নারীর সংখ্যাও কম নয়। সাম্প্রতিক কালের হায় হায় কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের দিকে তাকালে এই কথার সত্যতা মিলবে।

অতএব যা করতে হবে----

শরীর ও মনের যত্নে নিন, দল বেঁধে আড্ডা দিন,

বেড়াতে যান, মন খুলে হাসুন, নিজ ঘরে নাচুন, গান শুনুন, পরিমিত খান, সামাজিক কাজে এগিয়ে আসুন, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলুন। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন!

সুখের এবং অপরাধের চূড়ান্ত কোনো রূপ নেই।

সুখের ধারণা একেক মানুষের কাছে একেক রকম। কোনো এলাকায় যেটা অপরাধ সেটা অন্য এলাকায় অপরাধ বলে গণ্য হবে না।

ফলে এসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো ঝুঁকিপূর্ণ।

ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, ঝরঝরে থাকুন!

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়