প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ০০:০০
চাঁদবদনী রূপের রাণী-বাংলাদেশের হুর
বীর সন্তানদের জন্মদাত্রী-আমাদের চাঁদপুর।
রাস্তি শাহের আশীষধন্য-শাহ ফরিদের আবাসন
বীরত্বে আর জ্ঞান গরিমায়-পরিপুষ্ট মানুষজন।
মেঘনা পাড়ের নদী বন্দর-চাঁদপুর এ শহর।
সুমেরিয়ান আমল হতেই-আসতো হেথা বাণিজ্য বহর।
হাজার হাজার পালতোলা নাও-সওদাগরদের সাথে
সারা বিশ্বের মানুষজন-মিলিত এ ঘাটে।
সকল পেশায় সর্বযুগে-চাঁদপুরেরই মানুষজন
শিক্ষা-দীক্ষায় জ্ঞান গরিমায়-রাখছে তাঁদের অবদান।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে-চাঁদপুরবাসীর বীরত্ব
প্রমাণ করে বিশ্বের কাছে-চাঁদপুরেরই শ্রেষ্ঠত্ব।
এক ডিভিশন পাক-সেনা-প্রাণ হারায় বেঘোরে
স্বাধীনতার পতাকা এ ঠাঁয়-সবার আগে উড়ে।
বিএম কলিম, জহিরুল হক পাঠান-সহযোদ্ধা মুক্তিসেনার দল
রক্তখেকো হানাদারদের-পাঠায় রসাতল।
রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী-আমজনতার সহযোগিতার ফল
বিজয় লাভ সহজ ঠেকে-বাড়ায় মোদের বল।
স্বাধীন দেশের যে ঠাঁয় তাকাই-উচ্চে যে আসন
চেয়ে দেখি বসা সেথায়-চাঁদপুরের সন্তান।
মেঘনার পানে চেয়ে দেখি-ইলিশ নৃত্যরত
রূপে স্বাদে তুল্যহীন-জিহ্বা অসংযত।
চাঁদ যেমনি আঁধার কেটে-মর্ত্যে ছিটায় আলো
বাংলাদেশের এ জনপদ-সবার চেয়ে ভালো।