সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

জেলা প্রশাসকের এই প্রস্তাব অনুমোদন পাক

জেলা প্রশাসকের এই প্রস্তাব অনুমোদন পাক
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে এবং এ সপ্তাহ উপলক্ষে ৬ষ্ঠ দিনে দু শতাধিক জেলের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু মাস এবং মা ইলিশ রক্ষায় অক্টোবর-নভেম্বর দু মাস মিলিয়ে ২২ দিন মেঘনা-পদ্মায় সকল প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভয়াশ্রম চলাকালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তার পরিবর্তে তাদের একাউন্টে যাতে টাকা দেয়া হয়, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

তাঁর এ প্রস্তাবটিকে অধিকাংশজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন বলে জানা গেছে।

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রথমত মার্চ-এপ্রিলের অভয়াশ্রমকে ঘিরে নিবন্ধিত জেলেদের চার মাস ধরে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। তবে সব জেলের জন্যে চাল বরাদ্দ আসে না অজ্ঞাত কারণে। যেমন ২০১৪ সালে তৈরি তালিকানুযায়ী চাঁদপুরে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৫১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে ৩৮ হাজার জনের জন্যে চাল বরাদ্দ আসে। বাকি ১৩ হাজার জনের জন্যে আসে না। এই বাদ পড়াদের চিহ্নিতও করে দেয়া হয় না। ইউপি চেয়ারম্যানরা এই চাল বিতরণ করতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। কেননা, একটা ইউনিয়নের নিবন্ধিত সকল জেলেই চাল নিতে আসে। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানরা মাথাপিছু প্রতি জেলেকে ঠিক ৪০ কেজি করে না দিয়ে পরিমাণ কমিয়ে উপস্থিত সকলকে চাল দেয়ার চেষ্টা করেন। আর এতেই চেয়ারম্যানরা চাল চুরি না করেও চাল চুরির অপবাদ পান জেলেদের কাছ থেকে। এ নিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম সংবাদও প্রকাশ করে ফেলে। এতে নিরীহ চেয়ারম্যানরা বিব্রত হন, অযথা অপমানিত হন।

মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় দফায় অভয়াশ্রম চলে অক্টোবর-নভেম্বর মিলিয়ে ২২ দিন। সময়টা নির্ধারণের জন্যে চাঁদের অমাবস্যা-পূর্ণিমার ওপর নির্ভর করতে হয়। সেজন্যে প্রতি বছর এ নিষেধাজ্ঞার সময়টা কিছুটা পরিবর্তন হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই অভয়াশ্রমকে কেন্দ্র করে নিবন্ধিত জেলেরা মাত্র ২০ কেজি করে চাল পায়। দু মাসের অর্থাৎ ৬০ দিনের অভয়াশ্রমের জন্যে ৪ মাসে ১৬০ কেজি চালের স্থলে ২২ দিনের অভয়াশ্রমের জন্যে মাত্র ২০ কেজি চাল মোটেও যথার্থ নয়। তাও আবার নিবন্ধিত সকল জেলের জন্যে বরাদ্দ আসে না। ফলস্বরূপ ইউপি চেয়ারম্যানরা প্রাপ্ত চাল বন্টন করতে গিয়ে বাস্তবে জেলেদেরকে ১০-১২ কেজিও দিতে পারেন না। এ সময় তারা জেলেদের চরম ক্ষোভের মধ্যে পড়েন এবং প্রকাশ্যে ‘চাল চোর’-এর মতো অপবাদও অহেতুক হজম করতে হয়।

২০১৯ সালে ইলিশ-জেলেদের তালিকা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু করোনার কারণে সেটা থমকে যায়। চাঁদপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ চলতি ২০২১ সালের মধ্যে এ তালিকা হালনাগাদ করার জন্যে মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। পেশা পরিবর্তন, মৃত্যু ও বিদেশ গমন সহ আরো কিছু কারণে বিদ্যমান জেলেদের তালিকাটি যে হালনাগাদ নেই সেটি জেলা প্রশাসক দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রত্যক্ষ করে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। জেলেদের চাল বরাদ্দ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অনেক ইউপি চেয়ারম্যানের অনীহার কারণে এবং সাংবাদিকহ সচেতন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তার পরিবর্তে বিকল্প অর্থ সহায়তা, উপযোগী বিকল্প কর্মসংস্থান, জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে ভেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে জেলেদের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেয়ার প্রস্তাবটি উল্লেখযোগ্য। মৎস্যজীবী নেতাসহ জেলেদের অধিকাংশই এ প্রস্তাবকে ইতিবাচক বা যথার্থ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদরের এমপি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়