শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

মৌমিতা আচার্যীকে অভিনন্দন

মৌমিতা আচার্যীকে অভিনন্দন
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের সরকারি বিআস্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। ১৯৬১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কবির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেমতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৬১ পাস করে এবং ওই বছরের ৮মে কলকাতায় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। এটির প্রধান ক্যাম্পাস রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান তথা পৈত্রিক বাড়ি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকে ঘিরে গড়ে উঠে। আর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি গড়ে উঠে কাশীপুরে ব্যারাকপুর ট্রাংক রোডের ধারে মরকত কুঞ্জে। মূলত কলা বিভাগের পাঠ দেয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনটি মূল পাঠন অনুষদ রয়েছে : কলা, চারুকলা এবং দৃশ্যকলা। এছাড়া একটি বি-এড অনুষদ রয়েছে। কলা বিভাগে বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, ইংরেজির মতো প্রথাগত বিষয় ছাড়াও তুলনামূলক সাহিত্য, অর্থনীতি, গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মানব উন্নয়ন অধ্যয়নের মতো বিষয় পড়ানো হয়। দৃশ্যকলা বিভাগে ফলিত শিল্প, গ্রাফিক্স, পেইন্টিং, ভাস্কর্য, প্রদর্শনশালা সংক্রান্ত বিদ্যার মতো বিষয় পড়ানো হয়। আর চারুকলা বিভাগে সংগীতবিদ্যা, নৃত্য, নাটক, যন্ত্রসংগীত, গণযোগাযোগ ও ভিডিওগ্রাফির মতো বিষয় পড়ানো হয়।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে চারুকলা বিভাগের সংগীত বিদ্যা বিষয়ের কণ্ঠ সংগীত বিভাগে ভারত সরকারের বৃত্তি পেয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারস্থ প্রয়াত বাসুদেব আচার্যী ও সাধনা আচার্যীর কন্যা মৌমিতা আচার্যী। তিনি এ বিভাগের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছেন। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট) হয়েছেন। তার ফলাফলে ৬ষ্ঠ সেমিস্টারে জিপিএ এসেছে ৯.৮৩৩ এবং সিজিপিএ ৯.৫৮৮। মৌমিতা তার এ ফলাফলের জন্যে মহান সৃষ্টিকর্তা, বাবা-মা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তার সঙ্গীতগুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং চাঁদপুরের সন্তান হিসেবে সকলের আশীর্বাদ কামনা করে। উল্লেখ্য, মৌমিতা চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকায় অবস্থিত প্রসিদ্ধ সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বঙ্গজ’ এবং চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন ‘অনন্যা’-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে তাঁর সংগীত প্রতিভার উন্মেষ ঘটান। একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি ক্রমশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের মন জয় করেন। এ সময় তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (আইসিসিআর)-এর বৃত্তি পেয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

যে কোনো মানুষের যে কোনো ক্ষেত্রের প্রতিভা হচ্ছে ছাইছাপা আগুনের মতো। সুযোগ পেলেই এ আগুন স্ফুলিঙ্গ ছড়ায়। মৌমিতা আচার্যী চাঁদপুরে পড়ে থাকলে তার সংগীত প্রতিভার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নির্ণীত হতো কিনা সন্দেহ। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ প্রাপ্তি এবং মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়নশেষে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা নিঃসন্দেহে তার অনেক বড় কৃতিত্ব। এর মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলাবাসীর মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। এজন্যে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়