প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
প্রশংসনীয় কাজের পাশাপাশি দু মেয়রের প্রতি যে প্রত্যাশা---

বাংলাদেশের অনেক শহরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভা ব্যর্থ হওয়ায় জনজীবনে অস্বস্তি ও ক্ষোভ বিরাজের খবর বিভিন্ন টিভি, অনলাইন সহ সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমতাবস্থায় চাঁদপুর শহরে মাত্র ছয় ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণে চাঁদপুর পৌরসভার সাফল্যে জনমনে সন্তোষ ও মেয়রসহ পুরো পৌর কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করার খবর জানা গেছে। এক্ষেত্রে পশু কোরবানিদাতা নাগরিকদের সচেতনতা ও আন্তরিকতা ছিলো উল্লেখযোগ্য।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সুযোগ্য কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর শাহজাহান খান পাঁচজন সুপারভাইজারের তদারকি ও তিনশ' পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে চাহিদানুযায়ী পর্যাপ্ত যানবাহনের সহায়তায় মাত্র ছয় ঘণ্টায় শুধু বর্জ্য অপসারণ করেননি, তিনি আড়াই হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার ড্রেন সহ পশু জবাইকৃত স্থানে ছিটিয়ে শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখার কার্যকর প্রয়াস চালান। অতীতে আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফলতা দেখেছি, তবে এতোটা সফলতা দেখিনি। সেজন্যে মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশংসাব্যঞ্জক অভিব্যক্তিতে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার করিৎকর্মা মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন ঈদুল আজহার দিন সকাল থেকে প্রায় সারাদিন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ সরেজমিনে তদারকি করেন এবং নাগরিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাঁর এমন তৎপরতাও পৌরবাসীসহ সুুধীজনের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
যে কোনো পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারা অবকাঠামোগত উন্নয়নেই কেবল পুরোপুরি খুশি হয় না। তারা সুষ্ঠু পানি সরবরাহ, সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ও গৃহস্থালির দৈনন্দিন বর্জ্য যথাযথ অপসারণে পৌর/ সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যমান জনবলের দক্ষতা ও উপকরণের সক্ষমতার বিষয়টিতে তীক্ষè নজর রাখে এবং তার আলোকে তাদের ইতিবাচক বা নেতিবাচক মন্তব্য খুবই সহজাত ভঙ্গিতে প্রকাশ করে। সেজন্যে এ ক্ষেত্রে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতামূলক বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হয়। এই দৃষ্টিতে ন্যূনতম উদাসীনতায় নাগরিকদের তির্যক বাক্য বাণ সহ্য করার বিকল্প থাকে না। এটি যে মেয়র তাঁর উপলব্ধির সামগ্রিকতায় ধারণ করতে পারেন, তিনি প্রশংসার জোয়ারে ভাসেন, অন্যথায় নিন্দিত হন, এমনকি ধিকৃতও হন। আমরা চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ পৌরসভা মেয়রের কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে তাঁদের সাফল্যে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি গৃহস্থালির দৈনন্দিন বর্জ্য অপসারণ, যথাযথ ডাম্পিং এবং বর্জ্য পরিশোধনে অনেক বেশি মনোযোগী ও আন্তরিক প্রয়াসী হবার জোর অনুরোধ জানাতে চাই। এজন্যে গারবেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করার প্রচেষ্টায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে চাই।