সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

মাদকের বিরুদ্ধে এতো অভিযান, তারপরও-

মাদকের বিরুদ্ধে এতো অভিযান, তারপরও-
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার পদে মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) যোগদানের পর তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনীয়তা) ঘোষণা করেছেন। তাঁর এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত হয়ে জেলার প্রতিটি থানার ওসি, প্রতিটি ফাঁড়ির ইনচার্জ উদ্দীপ্ত হয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে এতোটা সক্রিয় যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোর এমন কোনো দিন নেই, যেদিন জেলার কোথাও না কোথাও মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারী কেউ না কেউ মাদকসহ গ্রেফতার হচ্ছেন। এছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চাঁদপুর কার্যালয়ে কর্মরত বর্তমান সহকারী পরিচালক দিদারুল আলমও তার ফোর্স নিয়ে জেলাব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে সাফল্য অর্জন করে চলছেন। এমতাবস্থায় মাদক-সংশ্লিষ্ট লোকজনের দমে যাওয়ারই কথা। তারপরও যখন পত্রিকায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় মতলবে যুবক গুরুতর আহত হবার সংবাদ পাওয়া যায়, তখন অনেকের মনেই নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয় এবং এমনটি হওয়া স্বাভাবিক।

গতকাল দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় ‘মতলবে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় যুবকের ওপর হামলা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর প্রবাসী জনি (২৮) নামের এক যুবক সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে সহসাই দেশত্যাগ করার কথা। অথচ তিনি এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার কারণে হামলার শিকার হয়েছেন। যার ফলে জনির মতো রেমিটেন্স যোদ্ধার সিঙ্গাপুরে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জনির বাবা হাজী সুলতান আহমেদ বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে আমার ছেলের ওপর হামলার বিচার চাই। আহত জনি জানান, ৩ আগস্ট সকালে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় আমাদের এলাকার রিয়াদ, রাকিব, রোমান, মুকুল, রাজী, শাহীন ও জুয়েল আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। জনির ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু সাহা আহত জনিকে দেখার জন্যে হাসপাতালে গিয়েছেন এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ প্রোপেন জানিয়েছেন, জনিকে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, জনির ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

আমরা মতলবে জনির মতো রেমিটেন্স যোদ্ধার ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের জিজ্ঞাসা, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের ঘোষিত জিরো টলারেন্সে কি মতলব থানা পুলিশের পুরোপুরি সাড়া নেই?-যদি থাকেও, তারপরও বলবো, এই থানার পুলিশকে মাদকবিরোধী অভিযানে পূর্বের চেয়ে বেশি আন্তরিক হতে হবে তথা অভিযান জোরদার করতে হবে। অন্যথায় মতলবের মাদক ব্যবসায়ীরা না দমে প্রশ্রয় পেয়ে আরো বেড়ে যাবে বৈ কমবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়