সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

বেসরকারি ফার্মেসিতে যখন সরকারি ঔষধ-
অনলাইন ডেস্ক

একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা যখন নিজ কর্মস্থলে সপরিবারে অবস্থান না করে দূরবর্তী জেলা সদরে অবস্থান করেন, তখন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুষ্ঠু পরিচালনা ব্যাহত হয়। এমন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কাঠামোও থাকে ঢিলেঢালা। সেজন্যে হরহামেশা এমন অভিযোগ উত্থাপিত হয়, যাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বিব্রত হতে হয়। চাঁদপুর জেলায় এমন ক’টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যতম ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এটির উপ-পরিদর্শক বিধান চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে তার মালিকানাধীন জনসেবা ফার্মেসিতে সরকারি ঔষধ তথা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদেরকে বিনামূল্যে প্রদানযোগ্য ঔষধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ক’বছর ধরে তিনি এ অবৈধ কাজটি করে আসছেন বলে এলাকাবাসী জানান।

চাঁদপুর কণ্ঠে গত ১৫ ডিসেম্বর বিধান চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম হয়েছে ‘সরকারি ঔষধ বিক্রি করলেন হাসপাতালের উপ-পরিদর্শক’। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, সম্প্রতি সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক বিধান চন্দ্র দেবনাথের কাছে তার ফার্মেসিতে পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও আমাশয়ের সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি (বিধান চন্দ্র দেবনাথ) সরকারি ঔষধ ‘মেট্রোনিডাজল’ দিয়ে ২০ টাকা নেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। তার এ ফার্মেসিটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মালের ভাংতি এলাকায় অবস্থিত। বিধান চন্দ্র দেবনাথের রোগী সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি নিকটবর্তী এলাকায়। তিনি জনৈক সিরাজুল ইসলামের পুত্র।

বিধান চন্দ্র দেবনাথ অবৈধভাবে সরকারি ঔষধ বিক্রির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত ক’বছর যাবৎ তার ফার্মেসিতে ওপেন সিক্রেটভাবে সরকারি ঔষধ বিক্রি করলেও রহস্যজনক কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি অনৈতিক এবং বেআইনি। যদি অভিযোগটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুচতুর এই কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলেই গণমাধ্যম কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন কিংবা দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরানোর কৌশলী প্রয়াস চালান। পরবর্তীতে আদৌ কী ব্যবস্থা নিয়েছেন বা নেন সেটি আর জানান না। যার ফলে এ হাসপাতালটির সুনাম পূর্বের চেয়ে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলে জানা গেছে। আমরা এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে সিভিল সার্জনের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়