বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ! দাবিটি বিবেচনা করুন

শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ! দাবিটি বিবেচনা করুন
অনলাইন ডেস্ক

গতকাল হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন রনি কর্তৃক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সচিত্র সংবাদ গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৌঁছাতে হয় হাইমচরের পরীক্ষা কেন্দ্রে ॥ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ॥ ঈশানবালায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র করার দাবি’। এ সংবাদটিতে উত্তাল মেঘনা কর্তৃক সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন জনপদ হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণের কষ্ট ও ঝুঁকির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়। একবার মেঘনা পাড়ি দিতে সময় লাগে ২-৩ ঘন্টা। এজন্যে পরীক্ষার্থীদের আতঙ্ক হতাশা আর উৎকণ্ঠায় ভুগতে হয়। এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের আশরাফুল আলম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা রকম প্রতিকূল পরিবেশে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। কখনো কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে আটকে যায় নৌযান। এজন্যে অনেক সময় নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারি না। এতে আমাদের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের সকলের দাবি, বোর্ডের পরীক্ষা কেন্দ্র যেনো আমাদের স্কুলেই করা হয়। আরেক শিক্ষার্থী জাহিদা আক্তার বলেন, আমাদের দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থান হওয়ায় যাতায়াত করার মতো পর্যাপ্ত যানবাহন থাকে না। ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার)যোগে আমাদেরকে হাইমচর উপজেলা সদরস্থ পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাড়ি থেকে পরীক্ষা শুরুর ২-৩ ঘন্টা আগে বের হতে হয়। তারপরও পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাসময়ে পৌঁছতে পারবো কিনা সে চিন্তায় আতঙ্কিত থাকতে হয়। এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র হলে আমাদের এতো কষ্ট করতে হতো না।

এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম মান্নাফ বলেন, চরাঞ্চলে দিন দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। এমতাবস্থায় এখানে পরীক্ষা কেন্দ্র করার জন্যে তিন বছর পূর্বে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করছি, যাতে দ্রুত ঈশানবালায় একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারও ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের হাইমচর উপজেলা সদরে এসে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক, যেটি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে চরাঞ্চলে একটি পরীক্ষা কেন্দ্র করা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুতই এ চেষ্টায় সাফল্য আসবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও অনুরূপ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

হাইমচরের ঈশানবালা চরসহ বিচ্ছিন্ন অন্যান্য চরাঞ্চলের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে হাইমচর উপজেলা সদরস্থ পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে না হয় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির সামান্য কৃপাদৃষ্টিই যথেষ্ট। সবচে’ বড় কথা, উল্লেখিত চরাঞ্চলগুলোর মানুষগুলো তাঁর সংসদীয় এলাকার বাসিন্দা। এদের সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিরসনে ঈশানবালায় অবশ্যই একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দেয়া এবং সেটি কার্যকর করা তাঁর জন্যে কঠিন কোনো কাজই নয়। আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট অকঠিন কাজটি দ্রুত সম্পাদনের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়