ফরিদগঞ্জে চিহ্নিত চোর কামালের বিরুদ্ধে ইউএনওকে স্মারকলিপি

এ যেনো পেশাদার চোর! পেশাদার বলার কারণ হচ্ছে, দীর্ঘ এক যুগ ধরে সে চুরি করছে। ধরা খেয়ে কয়েকবার মুচলেকাও দিয়েছে। তারপরও চুরি করছে। কয়েকবার গণপিটুনি খাওয়ার পরও চুরি করছে। পুলিশের তাড়া খাওয়ার পরও চুরি করছে। চুরির দায়ে হাজত খেটেছে। জেল থেকে বের হয়েও চুরি করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘তোরা যে যা বলিস্ ভাই, আমি চুরি ছাড়বো না ভাই।’ অথবা ‘আমি সব ছাড়তে পারবো, কিন্তু চুরি ছাড়বো না।’ এই যখন অবস্থা, তখন এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় দুশ' লোক তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামের মৃত রুহুল আমিন সর্দারের ছেলে কামাল (৪০) প্রসঙ্গে।

এলাকাবাসীর দাবি, সে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চুরি, মাদক চোরাচালান ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। এলাকার বহু পরিবার তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ও আতঙ্কিত। তার কারণে সাধারণ মানুষের মালের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত।

বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) দুপুরে এলাকাবাসীর পক্ষে কড়ৈতলীর সামাজিক সংগঠন ‘সেবার আলো’র সভাপতি মো. মাহিদুল ইসলাম অভির নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে সকালে অফিসার ইনচার্জকে অনুলিপি প্রদান করা হয়।

কামাল ইতঃপূর্বে কড়ৈতলী বাবুর বাড়িতে চুরির সময় ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়। তারপর পাটোয়ারী বাড়িতেও একইভাবে ধরা পড়লে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। তবুও সে সংশোধন হয়নি। সর্বশেষ কড়ৈতলী উদয়ন যুব সংঘের ক্লাবে চুরির ঘটনার মূল হোতা হিসেবেও সে চিহ্নিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাঁস, মুরগি, গবাদি পশু, টিউবওয়েল, অটোবাইকের ব্যাটারি, ঘরের আসবাবপত্র, স্বর্ণ চুরি এবং রাস্তায় পথচারী আটকিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

এলাকার শান্তি, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে কামালকে স্থায়ীভাবে কড়ৈতলী এলাকা থেকে বের করার দাবি জানানো হয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। কামাল শুধুমাত্র চিহ্নিত চোরই নয়, সে একজন কিশোর গ্যাং নেতা। তাই কামাল সর্দারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে এলাকাবাসী স্মারকলিপি প্রদান করে। কড়ৈতলী গ্রামের ভুক্তভোগী ও সচেতন এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে এই চিহ্নিত অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তার কার্যকর করা হোক। তার কিশোর গ্যাং ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনভিত্তিক তদন্ত শুরু করা হোক। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা কর্তৃপক্ষের নিয়মিত টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হোক।