প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
এ যেন ডিএন হাই স্কুলের সুবর্ণ সময়ের ফসল
যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক যদি সর্বোচ্চ আন্তরিক হন এবং তাঁর পছন্দে যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ লাভ করেন, তাহলে তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাদীক্ষা, খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে আশানুরূপ/আশাব্যঞ্জকভাবে এগিয়ে যায়। এক্ষেত্রে চাঁদপুর জেলার মতলব জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ, হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের কাজী বজলুল হক, বলাখাল জে.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজী শাহজাহান আলী, চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাই স্কুলের আঃ হামিদ মজুমদার, বাবুরহাট হাই স্কুলের সারদা চরণ দত্ত, মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরীসহ আরো অনেকের নাম ইতিহাসে আছে স্মরণীয় হয়ে। এঁদের কর্মকালে উপরোক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বর্ণযুগ বা সুবর্ণ সময় অতিক্রম করে। আর এঁদের বিদায়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডে অবস্থিত ডি.এন. (দ্বার কানাথ) উচ্চ বিদ্যালয়ও দুজন সুযোগ্য প্রধান শিক্ষকের কারণে স্বর্ণযুগসহ সুর্বণ সময় অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। এঁদের একজন মাকসুদ আহমেদ এবং অন্যজন মোঃ সেকান্দর আলী খান। এঁদের কর্মকাল ছিলো ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। এ সময়ে এ বিদ্যালয়টি পড়ালেখায় শুধু নয়, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে আশাব্যঞ্জকভাবে এগিয়ে যায়। এই সুবর্ণ সময়ের দুজন কৃতী ছাত্র হচ্ছেন সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং আরেকজন গৌতম বুদ্ধ দাশ। সত্য প্রসাদ মজুমদার বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর এবং গৌতম বুদ্ধ দাশ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সংক্ষেপে সিভাসু)-এর ভাইস চ্যান্সেলর। সত্য প্রসাদ মজুমদার ২০২০ সালের ২৫ জুন থেকে বুয়েটে এবং গৌতম বুদ্ধ দশ ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে সিভাসুর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। এঁদের মধ্যে গৌতম বুদ্ধ দাশকে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চলতি ২০২২ সালে একুশে পদকের জন্যে নির্বাচিত করে।
১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী ডি. এন. হাই স্কুলের স্বর্ণযুগের ফসল হচ্ছেন দুটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির দুজন ভাইস চ্যান্সেলর। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আরো কতো কীর্তিমান মানুষ যে এই হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী, সেটার তালিকা অনেক দীর্ঘ। একটা খুব খারাপ সময় অতিক্রম করার পর এ স্কুলটিকে সাবেক সুনাম ও ঐতিহ্যের আলোকে পরিচালনা করার জন্যে স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি প্রথিতযশা চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডাঃ এস. এম. সহিদ উল্যার নেতৃত্বে চলছে আশানুরূপ কার্যক্রম। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ হোসেন নামে একজন অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক। তিনি আন্তরিকতার সাথে বিদ্যালয়টির পাঠদানসহ সামগ্রিক কার্যক্রমে মনোযোগী হয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আমরা চাই তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি এমনভাবে এগিয়ে যাক, যেটির শিক্ষার্থীরা শুধু ভাইস চ্যান্সেলর নয়, ভবিষ্যতে তারচে’ অনেক বড় কিছু হয়ে চাঁদপুরের মুখ উজ্জ্বল করবে।