প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ২০:৩৮
এলাকায় জুড়ে তোলপাড়
শাহরাস্তিতে ডোবা থেকে সাংবাদিক জসিমের ছেলের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার
শাহরাস্তি উপজেলা দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক মোঃ জসিম উদ্দনের ছেলে রিমন হোসেন জনির অর্ধগতিল মৃতদেহ বাড়ির ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
|আরো খবর
আজ ২০ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় বাড়ির লোকজন ডোবায় ঔষধ দিতে গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। তারা তৎক্ষণিক শাহরাস্তি থানাকে অবহিত করলে শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আঃ মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সন্ধায় মৃতদেহ উদ্ধার করার পর জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে রিসনাত জাহান জুমু মানিব্যাগ দেখে তার ভাইয়ের মৃতদেহ সনাক্ত করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক এলাকার ইব্রাহীম মিজি বাড়ির সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের ছেলে সুচিপাড়া ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রিমন হোসেন জনি গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খোজ খবর নেয়ার পর গত ১৮ নভেম্বর শাহরাস্তি থানায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন নিখোজ ডায়রি করেন। ডায়রী করার দুদিনের মাথায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ধারণা করছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানান, তার ছেলে গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোজ রয়েছে পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন স্থানে তার খোজ নেয়া হয়েছে। করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছিখটিয়া এলাকায় রিভার ভিউ কপি হাউজে তাকে কাজ করতে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পর সেই চাকুরি ছেড়ে জনি আবার কলেজ মুখি হয়। গত ৩০ অক্টোবর জনি কলেজে যায়। জাসিম উদ্দিন ও জানির কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই বলেও তিনি জানান।
জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে রেসানাত জাহান জুমু জানান, মৃতদেহটি তার ভাইয়ের। জিন্স প্যান্ট পড়নে থাকায় ও ম্যাটি ব্যাগে তার মৃত মায়ের ছবি থাকায় জনি কে সনাক্ত করতে ব্যাগ পেতে হয়নি তার। শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ মান্নান বলেন, আমরা জিডি পেয়ে সকল থানায় অবহিত করেছি।
মৃতদেহের সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণিক ঘটনারস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেছি। সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ও তার মেয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করেছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে।
উল্লেখ্য সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রেহানা বেগম দূরুরোগ্য ব্যদিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন। সেই ঘরে রিমন হোসেন জনি ও রেসনাত জাহান জুমু দুই সন্তান রয়েছে। এরপর জসিম উদ্দিন আবারো বিবাহ করেন এই সংসারেও তার দুই সন্তান রয়েছে।
মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদ শুনে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। এলাকাবাসি এ হত্যা কান্ডের সুষ্ট ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করেন। পুলিশ জনির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।