প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০১:৩৬
আজ চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ৫১ বছর
রোটারী আন্দোলনে বাংলাদেশের ৭ম প্রাচীন ক্লাব চাঁদপুর রোটারী ক্লাব। সময়ের পরিক্রমায় সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজ ৫১ বছর পূর্তি পালন করবে এই ক্লাবটি। আমি সৌভাগ্যবান। আমি আবেগাপ্লুত। এমন একটি সংগঠনের ৫১তম সভাপতি হিসেবে এ বছর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ভার বহনের সুযোগ পেয়েছি। সাংগঠনিক শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমার রোটারী পথচলা সেই ১৯৯২ সাল থেকে শুরু। সঞ্চিত অভিজ্ঞতাকে কিছুটা কাজে লাগিয়ে চেষ্টা থাকবে ২০২১-২২ রোটারীবর্ষে সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার।
|আরো খবর
চাঁদপুরের আধুনিক সংগঠনের জনক প্রয়াত ডাঃ নুরুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭০ সালে এই ক্লাবের পথচলা শুরু।
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় চাঁদপুরে বহু সামাজিক কাজের শুরু এই রোটারীর দক্ষ সংগঠকদের হাত ধরেই। অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। ইহলোকের মায়াত্যাগ করে চলে গেছেন। রেখে গেছেন তাঁদের সেই ভাল কাজের নিদর্শনগুলো। শ্রদ্ধাবোধ আর দোয়া সেই প্রয়াত সকল রোটারিয়ানের জন্য।
গত বছর ছিল ক্লাবের একটি উৎসবমুখর বছর। ৫০ বছর পূর্তি করলো প্রাণের চাঁদপুর রোটারী ক্লাব। অনেক বাধা ছিল। ছিল কোভিড-১৯-এর ভয়াল থাবা।
আল্লাহর অসীম রহমত, গত বছরের নভেম্বরের ২০ তারিখ লকডাউন ছিল না। করোনা ভাইরাসের ছোবলও ছিল অনেকটাই কম। এই করোনা মহামারীর মাঝেও ক্লাব সদস্যদের ব্যাপক আগ্রহ আর অগ্রজ রোটারিয়ানদের অনুপ্রেরণায় গত বছরের ৫০তম সভাপতি রোটাঃ নাছির উদ্দিন খান ও ৫০তম সেক্রেটারী রোটাঃ অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম হাতে নেন ৫০ বছর পূতির্র দুঃসাহসিক অনুষ্ঠানমালা।
প্রাক্তন সভাপতিরাও পিছিয়ে ছিলেন না। রোটাঃ পিপি আলহাজ¦ মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম আরএফএসএম, রোটাঃ পিপি সুভাষ চন্দ্র রায় পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি তমাল কুমার ঘোষ আরএফএসএম, রোটাঃ পিপি ডাঃ এসএম সহিদ উল্লাহ পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন আরএফএসএম, রোটাঃ পিপি নজরুল আমিন চৌধুরী সাজু পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি মোঃ হাফিজ মিয়া পিএইচএফ, রোটাঃ আলহাজ¦ মোঃ ইকবাল-বিন-বাশার পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আরএফএসএম, রোটাঃ পিপি অ্যাডঃ মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম পিএইচএফসহ সকল রোটারিয়ান সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ৫০ বছরের মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তুলে দেন ক্লাবের ৪০তম সাবেক সভাপতি রোটাঃ পিপি কাজী শাহাদাত পিএইচএফকে।
আহ্বায়ক হিসেবে ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের দায়িত্ব পেয়ে আসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনটি মাস কোভিড-১৯-এর মাঝে ভার্চুয়াল বা কখনও শারীরিক উপস্থিতিতে বিভিন্ন উপ-কমিটির সভা করে একটি আনন্দের আমেজ তৈরি করে রাখেন। সাজ সাজ রব চলে বেশ ক’মাস। দিনব্যাপী আয়োজনের সফল আহ্বায়ক হিসেবে রোটাঃ পিপি কাজী শাহাদাত সদস্য সচিব হিসেবে রোটাঃ পিপি সাইয়েদুল ইসলাম বাবুকে পাশে নিয়ে কাজ করেন।
পোস্ট কোভিড নিয়ে ঢাকায় চেস্ট স্পেশালিস্টের পরামর্শে থেরাপি চলছিলো আমার। কোনো বাধাই আটকাতে পারেনি। সাজ সাজ রবের অংশীদার সেদিন আমিও ছিলাম। বর্ণিল আলোকচ্ছটা না থাকলেও একটু ভিন্ন সাজেই সাজানোর চেষ্টা করেছিলাম প্রাণের রোটারী ভবনকে।
মুখরিত ছিল রোটারিয়ানরা তাদের পরিবারসহ, সাথে প্রাণের রোটার্যাক্টরাও। সেদিন ফিরে আর আসবে না। ৫০ বছরও আর আসবে না।
আসবে না আমাদের রোটাঃ পিপি আলহাজ¦ আবুল কাশেম গাজী সাহেব। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাপনায় অসুস্থতা নিয়েও উপস্থিত ছিলেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে আপ্যায়িত করেছেন শেষবারের মতো। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুক কাশেম গাজী ভাই।
স্মরণীয় এই ৫০ বছর পূর্তির আয়োজনের সফল চেয়ারম্যান রোটাঃ পিপি কাজী শাহাদাতসহ পুরো টিমকে আজীবন স্মরণে রাখবে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব। আসলেই আসাধারণ দক্ষ একজন সংগঠক তিনি।
আল্লাহ হাফেজ।লেখকঃ
রোটাঃ শাহেদুল হক মোর্শেদ, আরএফএসএম
সভাপতি (২০২১-২১)
চাঁদপুর রোটারী ক্লাব।