প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ০৩:৪৩
চাঁদপুরে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এমভি লামিয়া নামের লঞ্চের ধাক্কায় খেয়া পারাপারের নৌকা ডুবিরর ঘটনায় গুরুতর আহত এক যাত্রীকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা গেছে। তার নাম রেজিয়া খাতুন (৬৫)। সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজেরাজেশ্বর চর এলাকার আহাদ মিয়ার স্ত্রী। অপরদিকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিঁখোজ নাছিমা বেগমকে (৩৫) কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস ডুবুরিরা অনেক চেষ্টা করেও তার মৃতদেহের সন্ধান পায়নি।
|আরো খবর
৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা বারোটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিঁখোজ নাছিমা শরিয়তপুর উত্তর তারাবুনিয়ার সালেহ আহমদ মাসুদের স্ত্রী। নিহত ও নিঁখোজ দুই নারী সম্পর্কে ননদ- ভাবি। তারা চাঁদপুর শহরে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ট্রলারযোগে চর এলাকা থেকে এসেছিল। খেয়া পার হতে গিয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে চাঁদপুর থানা পুলিশ মোহনপুর ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় ঘাতক লঞ্চটি জব্দ করে চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লামিয়া লঞ্চের মাস্টার মতিউর রহমান,ড্রাইভার মোস্তফা মিয়া, কেরানী মজিবুর রহমান ও সুকানী আবু জাহিদ এ ৪ জনকে আটক করে নৌ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ নাছিমা বেগমের পিতা ফয়জুল সরকার বাদি হয়ে ও চাঁদপুর নৌ- টার্মিনালের বন্দর কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ১টিসহ ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছ বলে বন্দর কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম জানিয়েছেন। নৌ পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, শহরের ডাকাতিয়া নদীর কয়লাঘাটের লঞ্চঘাট থেকে ওই লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই সময় বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার একটি খেয়া নৌকা চরের ট্রলার যাত্রীদের নিয়ে নদী পার হচ্ছিল। লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌকাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকায় থাকা ৮/৯ জন যাত্রীরা নদীতে ছিটকে পড়ে। তাদের মধ্য লঞ্চের ধাক্কায় দুইজন যাত্রী গুরুতর আহত হয় এবং ১ জন নদীতে তলিয়ে গেছে। আহতদেরসহ অন্যান্য যাত্রীদের আশেপাশের খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত রেজিয়া খাতুনসহ দুইজনকে দ্রুত চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় কর্মরত চিকিৎসক রেজিয়া খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, এমভি লামিয়া লঞ্চটি ডামুড্যা-চাঁদপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে। ডামুড্যা থেকে আসার পর ওই লঞ্চটি মেঘনা নদীর চাঁদপুর বড় লঞ্চঘাটে না ভিড়িয়ে নদী বন্দরের পুরাতন লঞ্চঘাটে ভিড়ায়। সেখান থেকে যাবার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটায়। প্রায় দিনই এই লঞ্চটি ডাকাতিয়া নদীর ঘাটে অবস্থান করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।