প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৭
সময়োপযোগী এমন সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর হোক

চঁাদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের কৃষি ঋণ নিয়ে সমস্যা ও সেচ সমস্যা নিয়ে অংশীজনদের সাথে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এ সভা দুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেচ প্রকল্প এলাকায় সেচ সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কৃষক প্রতিনিধিদের সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রধানদের মতবিনিময় সভায় সেচ সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কৃষকদের নানান সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান শেষে দ্রুত তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। খাল খনন নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতা, চলতি আমন মৌসুমের শুরুর পূর্বে খাল খনন শুরু, সেচ সমস্যা সমাধানে গৃহীত কর্মসূচির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার, প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, চঁাদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ড চঁাদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুুর রহমান, বিএডিসি চঁাদপুর (ক্ষুদ্র সেচ) ইউনিটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আল-আমিন। কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কৃষক সংগ্রাম কমিটি চঁাদপুর-লক্ষ্মীপুর সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলাল, সদস্য রহিমা কলি ও মানিক দাস। এর আগে কৃষি ঋণ নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সথে প্রশাসন ও কৃষক প্রতিনিধিদের পৃথক মতিবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বৃহৎ কৃষি এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এবং সেচ প্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা যাতে সহজেই কৃষি ঋণ পেতে পারে, সে ব্যবস্থাগ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। রেয়াতি কৃষি ঋণ ফরিদগঞ্জে বাস্তবায়নে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা এবং সর্বোপরি কৃষি ঋণ নিতে এসে কৃষকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, বারংবার না আসতে হয়, সেজন্যে তাদের জন্যে ঋণ পেতে তথ্যযুক্ত একটি বুকলেট তৈরি করে কৃষক প্রতিনিধিদের কাছে প্রদানের জন্যে অনুরোধ করা হয়।
আমরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এমন দুটি সভাকে সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মনে করছি। অতীতে যে এমন সভা হয়নি, সেটা বলা যাবে না। তবে এটা বলা যায় যে, অতীত সভার সিদ্ধান্তগুলো অধিকাংশই কার্যকর হয় নি। সিদ্ধান্তগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও সভা-পরবর্তীতে গুরুত্ব পেতে দেখা যায় নি। তবে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে যেভাবে নিজেকে করিৎকর্মা বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, এবার উল্লেখিত সভা দুটির সিদ্ধান্তবলি তঁারই মনিটরিং ও ফলোআপে বাস্তবায়িত হবে। সেটা যদি হয়, তাহলে এই ইউএনও ফরিদগঞ্জের ইতিহাসে সবচে’ বেশি কৃষক ও কৃষিবান্ধব বলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। আমরা এ প্রমাণটাই প্রত্যাশা করি।








