প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫
চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজন
লেখকের মুখোমুখি কবি, কথাকার ও লোকগবেষক কাদের পলাশ

চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে লেখকের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কবি, কথাকার ও লোকগবেষক কাদের পলাশ। শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় সাহিত্য একাডেমি, চাঁদপুর-এর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন মিলনায়তন-এ এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। সংগঠনের সভাপতি ম. নূরে আলম পাটওয়ারী-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবি সুমন কুমার দত্ত-এর পরিচালনায় শুরুতেই কাদের পলাশের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন কবি ইমরান শাকির ইমরু। কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও অনুবাদক জাহিদ নয়ন। গল্প নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক। প্রবন্ধ ও লোকগবেষণা নিয়ে আলোচনা করেন চাঁসক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইদুজ্জামান। কাদের পলাশ সম্পাদিত ছোটকাগজ ত্রিনদী নিয়ে আলোচনা করেন কবি দেওয়ান মাসুদ রহমান। এছাড়া অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন লেখক মঈনুদ্দীন লিটন (লিটন ভূঁইয়া) ও সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল কাফী।
|আরো খবর
অন্য চোখে কাদের পলাশ' পর্বে আলোচনা করেন সাহিত্য একাডেমির পরিচালক (গবেষণা) মুহাম্মদ ফরিদ হাসান ও পরিচালক (গ্রন্থাগার, সেমিনার ও শিশুসাহিত্য) আশিক বিন রহিম। কবির কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী খোকন মজুমদার।
আলোচকরা বলেন, কবি ও লেখকদের প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা চিরকালই গভীর। তাদের লেখনী পাঠকের আনন্দ, বেদনা, স্বপ্ন ও ভাবনার পথ দেখায়। শব্দের ভেতর দিয়ে মানুষ ও সমাজের ছবি আঁকার যে ক্ষমতা লেখকরা রাখেন— তা পাঠকের জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। তারা বলেন, কাদের পলাশ-এর কলম সত্য ও সৌন্দর্য এর আলো ছড়িয়ে পড়েছে। তার লেখার অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও কল্পনা পাঠকের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তার প্রতিটি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধে পাঠক খুঁজে পায় জীবনেরই কোনো এক অংশ—যা হয়তো আগে অনেকেরই চেনা হয়ে উঠেনি। তার লেখা পাঠকদের ভাবতে শেখায়, অনুভব করতে শেখায়, আবার কখনও প্রশ্ন তুলতেও সাহস যোগান।
এ সময় 'লেখকদের মুখোমুখি কাদের পলাশ' পর্বে বক্তব্য রাখেন আবদুর গণি, সাদ আল আমিন, দেওয়ান মাসুদ রহমান, রাজিব কুমার দাস, মাইনুল ইসলাম মানিক, মো. সাইদুজ্জামান, মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, খোকন মজুমদার, মো. ইসমাইল হোসেন, ইমরান শাকির ইমরু প্রমুখ।
সবশেষে কাদের পলাশ সম্পাদিত 'চাঁদপুরে টেলিভিশন সাংবাদিকতার চার দশক' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিগণ।
উল্লেখ্য, কাদের পলাশ বহুমাত্রিক মানুষ। তিনি গল্প-কবিতা, লোকগবেষণায় প্রচুর কাজ করছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি সফল। মহাপরিচালক হিসেবে তার সাংগঠনিক তৎপরতায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি নতুন গতি পেয়েছে। তিনি চাঁদপুর প্রেসক্লাব-এর সাধারণ সম্পাদক। তাঁর চর্চা অব্যাহত রাখলে একদিন জাতীয়ভাবে সমাদৃত হবেন— এমনটাই প্রত্যাশা পাঠকদের।
ডিসিকে/এমজেডএইচ




