প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ০৯:৩২
কেমন আছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী?

চাঁদপুরের সংস্কৃতির জগতে এক পরিচিত ও শ্রদ্ধাভাজন নাম জীবন কানাই চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে সংগীত, নাটক সহ অন্যান্য সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত এই গুণী ব্যক্তিত্ব বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় গত কয়েক বছর ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। এখন অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে আশার কথা হলো, তিনি এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ এবং মানসিকভাবে প্রাণবন্ত আছেন।
গত ১৮ মে ২০২৫ বিকেলে তাঁকে দেখতে তাঁর নিজ বাসায় যান সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ ও সংস্কৃতি সংগঠক স্বপন সেনগুপ্ত। দুই গুণী মানুষের এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে ছিলো স্মৃতিচারণ, হৃদ্যতা ও গভীর ভালোবাসার মুহূর্ত।
স্বপন সেনগুপ্ত বলেন, “জীবনদা আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। আজ তাঁকে দেখে ভালো লাগলো যে, তিনি এখনও হাসিমুখে আমাদের স্বাগত জানান, কথা বলেন স্মৃতি ধরে রেখে।”
জীবন কানাই চক্রবর্তী বলেন, “এই বয়সে ভালো থাকাটা খুব সহজ নয়। তবে যখন দেখি পুরানো বন্ধু আসে, সংস্কৃতির মানুষ আসে, তখন মনে হয় এখনো কিছুটা বেঁচে আছি মনের দিক থেকে।”
চাঁদপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা মনে করেন, “জীবন কানাই চক্রবর্তীর মতো মানুষেরা আমাদের সংস্কৃতির শক্ত ভিত। তাঁদের যত্ন নেওয়া, পাশে থাকা এবং তাঁদের অবদান স্মরণ করাও সংস্কৃতি কর্মীদের একটি দায়িত্ব।”
বর্তমানে জীবন কানাই চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাসায় বিশ্রামে থাকছেন। চিকিৎসা চলছে নিয়মিত। মানসিকভাবেও তিনি বেশ সচল। পুরানো দিনের গান, নাটকের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখে ভেসে উঠে মঞ্চের আলো-অন্ধকার।
স্বপন সেনগুপ্তের এই সাক্ষাৎটি শুধু একজন অসুস্থ সংস্কৃতিকর্মীকে খোঁজ নেওয়া নয়, বরং প্রজন্মান্তরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক নিদর্শন।
জীবন কানাই চক্রবর্তী যেন ভালো থাকেন, আবারো একদিন সংস্কৃতি অঙ্গনে ফিরে এলে তাঁকেই ঘিরে বাজুক করতালি—এই প্রত্যাশাই করেছে তাঁর ভক্তসহ চাঁদপুরের সর্বস্তরের সংস্কৃতি কর্মীরা।