মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪

চাঁদপুর প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের মুগ্ধতা

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের মুগ্ধতা

চাঁদপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম। রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে এ উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল রুশদীর সভাপ্রধানে এবং সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপ-সচিব) মো. আব্দুস সবুর।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকে আমি চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনটি দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আবার আমি এই প্রেসক্লাবে আসবো। আমরা অনেক সময় মনে করি, ঢাকার পরে সবই হচ্ছে মফস্বল, কিন্তু বিষয়টি তা নয়। একটি জেলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে একটি প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবটির পরিবেশ দেখে আমি এতোই আনন্দিত হয়েছি যে, আগে জানলে আজকে সাংবাদিকদের নিয়ে সার্কিট হাউসে যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে তা আমি প্রেসক্লাবের মধ্যেই দিতাম। তিনি আরো বলেন, আমাকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি চেষ্টা করবো সাংবাদিকদের জন্যে কিছু করার। তিনি আরো বলেন, আজকে এখানে এসে জানতে পারলাম এই প্রেসক্লাবের একজন সদস্য মারা গেলে তার পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়। আমাদের বিচারপতি মারা গেলে আমরা এক লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে থাকি। কিন্তু চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কার্যক্রম আমাদের থেকেও এগিয়ে। আমি এই প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। আমরা সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্যে কাজ করছি । এ জন্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই ।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবন ও এর কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁর মুগ্ধতা সহজেই উপলব্ধ হয়। তাঁর এই মুগ্ধতা আশাব্যঞ্জক ও প্রেরণাদায়ক। এতে প্রেসক্লাবের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেতৃবৃন্দের দায়িত্বশীলতা অনেক বেড়ে গেলো। প্রতিবছর প্রেসক্লাবের নির্বাচনকালে ডিসেম্বর মাসে অস্থিরতা তৈরি হয়। অনেকে শঙ্কায় ভোগেন, না জানি নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে প্রেসক্লাবের মধ্যে অনৈক্য তৈরি হয়। নেতা হতে ব্যর্থ কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উষ্মা প্রকাশ করেন কিংবা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেন। তারপরও গত ১৫ বছরে এমনটায় কোনো বড়ো ধরনের সমস্যা তৈরি হয় নি। প্রেসক্লাব নিজেদের ঐক্য ধরে রেখে প্রেসক্লাব সদস্য ও ভ্রাতৃপ্রতিম সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের স্বার্থরক্ষা করে নানামুখী কর্মতৎপরতায় সামনে এগিয়ে চলছে। এই এগিয়ে চলাটাকে রাজনৈতিক ২-৪ জন নেতার ইন্ধনে ও আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ২/১টি ভূঁইফোড় সংগঠন চ্যালেঞ্জ করলেও সেটা ধোপেও টেকেনি। এর পেছনে চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যদের ঐক্য ও দৃঢ়তা প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এমনটি সবসময় বজায় থাকলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এগিয়ে যাওয়া থামানো যাবে না। এর ফলে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের মুগ্ধতা টেকসই হবে এবং ভবিষ্যতে আরো অনেকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে মুগ্ধতা প্রকাশ করতেই থাকবে--এমনটি আমরা অবশ্যই আশা করতে পারি। বাকিটা আল্লাহর রহমত ও ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়