প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:২৫
স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের মহাপ্রয়াণ দিবসে চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে কর্মসূচি

সুমহান চরিত্রগঠন আন্দোলনের স্রষ্টা, অভিক্ষা মন্ত্রের উদগাতা, স্বাবলম্বন ও ব্রহ্মচর্য্যের প্রমূর্ত বিগ্রহ পরমারাধ্য গুরুদেব অখণ্ড মণ্ডলেশ্বর শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের মহাপ্রয়াণ দিবস সোমবার (২১ এপ্রিল ২০২৫)।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে দিবসটি পালনকল্পে চাঁদপুর শহরের পুরাণ আদালত পাড়াস্থ পরমারাধ্য স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের পুণ্য জন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে ভোর সাড়ে ৫ টায় ঊষা কীর্ত্তন, সকাল ৮ টায় মঙ্গল শঙ্খধ্বনি, শ্রীশ্রী অখণ্ড সংহিতা পাঠ, সকাল সাড়ে ৮ টায় সমবেত উপাসনা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) একই স্থানে ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীশ্রী বাবা মণি ও তাঁর সুযোগ্যা মানস কন্যা পরম পূজনীয়া শ্রীশ্রী মা মণি সংহিতা দেবীর পুণ্য মহা সমাধি দিবস। এ উপলক্ষে এই দিন ভোর সাড়ে ৫ টায় ঊষা কীর্তন, সকাল ৮ টায় মঙ্গল শঙ্খধ্বনি, শ্রীশ্রী অখণ্ড সংহিতা পাঠ, সকাল সাড়ে ৮ টায় সমবেত উপাসনা শেষে ব্রহ্মগায়েত্রী গীত, নীরব মহানাম জপযজ্ঞ, সকাল পৌনে ১১ টায় হরি ওঁ মহানাম সংকীর্ত্তন, দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিদগ্ধ আলোচকদের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে স্মৃতিচারণ সভা। দুপুর ২ টায় শান্তি বাচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সমাপ্তি ও মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে।
মহাপ্রয়াণ ও পুণ্য মহা সমাধি স্মৃতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান সমূহে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও সানুগ্রহ উপস্থিতি কামনা করেছেন পু্ণ্য জন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রম, চাঁদপুর অযাচক আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের সেবক- সেবিকা বৃন্দ।
বিশ্বনন্দিত মহান সাধক, অখণ্ড মণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব চাঁদপুরের পুরাণ আদালত পাড়ার পুণ্য ভূমিতে শত বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। যে পুণ্য ভূমি আজ বিশ্ব মাঝে ব্যাপক পরিচিতি বহন করে আসছে। প্রতি দিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত, অনুরাগী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষ পুণ্য জন্মস্থান দর্শনে আসেন মনের ভক্তি আর শ্রদ্ধা নিয়ে। তারা নিজেদের কল্যাণ আর বিশ্ব শান্তি লাভে প্রার্থনা করেন নীরবে । অগণিত ভক্তদের প্রার্থনার সুবিধার্থে আর শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের পুণ্য জন্মস্থানের স্মৃতি রক্ষার্থে পরমারাধ্য গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরই ভক্ত অনুরাগীগণ তাঁরই জন্মস্থানে গড়ে তুলছেন বিশ্বমানের ধ্যান মন্দির, যা বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে। ধ্যান মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আগত ভক্তদের কাছে তা মহা মিলনস্থলে পরিণত হবে বলে সকলের বিশ্বাস। মন্দিরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নে সকলের সাহায্য, সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জগদ্বিখ্যাত বিশ্ব নন্দিত মহাসাধক স্বামী স্বরূপানন্দই বলতে পেরেছেন, আমি জানিতে চাহি না তুমি হিন্দু, না মুসলিম, তুমি খ্রিস্টান না বৌদ্ধ, আমি জানিতে চাহি তুমি কতোটুকু মানুষ। তিনি জাত পাতকে যতোটা না প্রাধান্য দিয়েছেন, তার চেয়ে অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্যে। তিনি ঘৃণা করেছেন ভিক্ষা বৃত্তিকে, গুরুত্বারোপ করেছেন চরিত্র গঠনে। তিনিই চাঁদপুরের ঘোড়ামারার মাঠে সর্বপ্রথম চরিত্রগঠন আন্দোলনের শুভ সূচনা করেন। আজ তাঁর লেখা বই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই মহান সাধকের জন্মস্থানে সকলে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তাঁর অগণিত ভক্ত।