বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫  |   ৩৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৩

ইভটিজিংয়ে প্রশ্রয়দাতারও শাস্তি চাই

অনলাইন ডেস্ক
ইভটিজিংয়ে প্রশ্রয়দাতারও শাস্তি চাই

‘বাবা-মা’র অপমান সইতে না পেরে এক কিশোরীর আত্মহত্যা’ শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডস্থ পুরাণবাজার রঘুনাথপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে সোনিয়া আক্তার নামে এক কিশোরী (১৪) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২২ মার্চ ২০২৫) দুপুরে রঘুনাথপুর আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসকারী শরিফ হোসেনের বসতঘরে এই ঘটনাটি ঘটে। মেয়েকে জীবিত ভেবে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে বাবা। কিন্তু কর্মরত চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরী সোনিয়ার বাবা শরীফ জানান, দীর্ঘদিন যাবত এলাকার বখাটে যুবক নয়ন তার মেয়ে সোনিয়াকে প্রেম নিবেদন করে উত্যক্ত করতো। সোনিয়া তার কথা না শুনে পরিবারের কাছে উত্ত্যক্তের বিষয়টি জানায়। তার বাবা এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটে নয়নের ভাই জুয়েল লোকজন নিয়ে প্রথমে আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসে মাকে হুমকি-ধমকি দেয়, পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে মারধর করে। মেয়ের সামনে বাবা-মাকে অপমান-অপদস্থ ও মারধর করার ক্ষোভে সোনিয়া নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানেন।

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে বাবার মার খাওয়া এবং মায়ের অপমানিত হওয়াটাকে কিশোরী সোনিয়া মেনে নিতে না পেরে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ দ্রুত আত্মহননের পথ বেছে নেয়াটা মর্মান্তিক। বয়সের অপরিপক্কতাহেতু অনিয়ন্ত্রিত আবেগের বশবর্তী হয়ে সোনিয়া যে কাজটি করেছে সেটা গ্রহণযোগ্য না হলেও সাধারণ মানুষকে নাড়া দিয়েছে। পুলিশের কাছে সোনিয়ার বাবা বিচার চেয়ে যদি না পেতো, তাহলে কথা ছিলো। সে যাই হোক, সোনিয়াকে ইভটিজিংয়ের জন্যে বখাটে নয়নের কী শাস্তি হয় সেটা নয়, বরং তার ইভটিজিংয়ে প্রশ্রয়দাতা হিসেবে নয়নের ভাই জুয়েলের কী শাস্তি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। কেননা জুয়েলের উগ্রতা ও মারমুখী আচরণে সোনিয়ার বাবা-মা অপমান-অপদস্থ হয়েছে এবং বাবা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে, যেটা সোনিয়াকে আত্মহননে প্ররোচিত করেছে। ঘটনার মর্মান্তিকতা বিচারে পুলিশ ও আদালত কী ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়