শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯

অভিযান এমন নিবিড়ই হওয়া উচিত

কাজী শাহাদাত
অভিযান এমন নিবিড়ই হওয়া উচিত

মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন  বাজার ও মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে জাটকা ইলিশ  জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ ২০২৫) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বেলতলী, কালীপুর, ষাটনল কুনু মার্কেট, ছেংগারচরসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৬০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জনতা বাজার ও বাবুরবাজার, এখলাশপুরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত পরিদর্শন করা হয়। আর বেলতলী, কালীপুর, ষাটনল কুনু মার্কেট, ছেংগারচরসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত পরিমাণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস, এএসআই মো. অহিদুর রহমান। মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস জানান, মতলব উত্তর উপজেলার পদ্মা-মেঘনায়  ১ মার্চ-৩০ এপ্রিল দুমাস ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষেধ। অভয়াশ্রম ও জাটকা রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে অভিযান  পরিচালনা করা হচ্ছে। জাটকা রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চঁাদপুর জেলায় পদ্মা-মেঘনা নদীর তীরবর্তী চারটি উপজেলা রয়েছেÑমতলব উত্তর, মতলব, চঁাদপুর সদর ও হাইমচর। মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চর ভৈরবী পর্যন্ত সত্তর কিলোমিটার নদীতে জাটকা ইলিশ রক্ষায় চলছে দু মাসের অভয়াশ্রম। এ সময় ছোট-বড় ইলিশ শুধু নয়, নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরাই নিষেধ। আর ধৃত ইলিশ কেনাবেচা, বাজারজাতকরণ, মজুদ ও পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষেধ। কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ, জেলা/উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে জল ও স্থলে নিবিড় অভিযান চালানোর কথা। কিন্তু তেমন অভিযান কি প্রকৃত অর্থে চলে? অভিযানগুলো বিক্ষিপ্ত- বিচ্ছিন্নভাবে চলে। নদীতে তথা জলে অভিযান চালানোটাকেই মুখ্য ভাবা হয়। বাস্তবে বিশাল নদীতে সেই মুখ্য অভিযান জনবল সঙ্কটসহ নানা সীমাবদ্ধতায় চালাতে হয় সীমিতভাবে। সে কারণে ফঁাকফোকরে অসাধু জেলেরা জাটকা ইলিশ ধরে নদীর তীরবর্তী আড়তসহ নিকটবর্তী ও দূরবর্তী বাজারে বিক্রি করে কিংবা হকারি করে প্রত্যন্ত ও তৃণমূল পর্যায়ে বিক্রি করে। এমনটা প্রতিহতকরণে স্থলভাগে টাস্কফোর্স, বিশেষ করে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সঁাড়াশি/নিবিড় অভিযান চালানো দরকার। কিন্তু এবার এমন অভিযানে মতলব উত্তর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ছাড়া নদী তীরবর্তী তিন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এবং ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান নিবিড় অভিযান দেখা যাচ্ছে না। ফলে নদীতে রাতের বেলা কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের যৌক্তিক শৈথিল্যপূর্ণ তৎপরতায় অসাধু জেলে কর্তৃক কম-বেশি ধৃত ছোট-বড় ইলিশ নদী তীরবর্তী আড়ত ও বাজার এবং বিস্তীর্ণ জনপদে নানান প্রক্রিয়ায় বিক্রি হয়, যেটা ঠেকানো সরকারের পক্ষ থেকে কম ব্যয় ও ঝুঁকির হলেও সেটা করা হয় না। এতে রাতে তুলনামূলক কম রক্ষিত নদীতে ধৃত ইলিশ অনেকটা ফ্রি স্টাইলে বিক্রি হতে দেখা যায়। এই বিক্রি বন্ধে মতলব উত্তর উপজেলা টাস্কফোর্স/মৎস্য বিভাগের ন্যায় পুলিশ ও অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর  নিবিড় অভিযান চালানোর স্বার্থে  সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হচ্ছে না।  এ ব্যাপারে তাগিদও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমরা জাটকা রক্ষায় উপরোল্লিখিত বিষয় ভেবে দেখার জন্যে সরকারের মৎস্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি সনির্বন্ধ  অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়