বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৩

হাইমচরে আগুনে ক্ষতি বাড়লো দমকল ও পল্লী বিদ্যুতের জন্যে?

অনলাইন ডেস্ক
হাইমচরে আগুনে ক্ষতি বাড়লো দমকল ও পল্লী বিদ্যুতের জন্যে?

হাইমচর উপজেলার কেভিএন বাজারে সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দু কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন সব দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাইমচর ফায়ার সার্ভিস (দমকল বাহিনী)-এর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে আরও দুটি ইউনিট এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দু ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাইমচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার রতন শেখ জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে তাদের রিজার্ভ পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রিজার্ভ পানি শেষ হয়ে গেলে পুকুর থেকে পানি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় মেশিনে ত্রুটি দেখা দিলে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট আনা হয়। তিনটি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে তাদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় হাইমচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ঘটনাস্থলে আসলে মাত্র চারটি দোকানে আগুন জ্বলছিলো। তবে তাদের মেশিন নষ্ট থাকায় আমাদের অন্য দোকানগুলো আগুনে পুড়ে যায় এবং বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার জন্যে পল্লী বিদ্যুৎকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেনি। এতে করে আমাদের সব দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, আগুনের সূত্রপাত কোত্থেকে হয়েছে এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমি দেখেছি সেখানে প্রায় ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্তের মধ্যমে দেখবো এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না।

হাইমচরের কেভিএন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন করা অতীব প্রয়োজন। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাইমচর ফায়ার সার্ভিসের যান্ত্রিক ত্রুটি ও পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সবার মুখে মুখে। একসময় চাঁদপুর জেলা সদর ও হাজীগঞ্জ ছাড়া জেলার অন্যত্র ফায়ার স্টেশন ছিলো না। এখন প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন থাকার পরও কোনো অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার ব্যর্থতা অনেক দুঃখজনক। যেমনটি হাইমচরে ঘটেছে। এর বাইরে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা অমার্জনীয়। ইউএনও এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয় ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করে যতো দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদায় করতে পারবেন, ততোই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমন করতে পারবেন। যদি এই অগ্নিকাণ্ডটি নাশকতামূলক বলে চিহ্নিত হয়, তাহলে সর্বত্র সতর্কতা জারি করা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়