প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩২
ঘটনাগুলো কি কাকতালীয় না পরিকল্পিত?
![ঘটনাগুলো কি কাকতালীয় না পরিকল্পিত?](/assets/news_photos/2025/02/09/image-58773-1739086436bdjournal.jpg)
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। চাঁদপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত এক যুবকের লাশ উদ্ধারে আলোড়ন সৃষ্টির কথা মন থেকে মুছে না যেতেই একের পর এক মৃত্যুর কারণ না জানা আরো কিছু লাশ উদ্ধার হয়ে চলছে। যেমন-কচুয়ায় অটোরিকশার চালক এবং ফরিদগঞ্জে পঁচানব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার। সর্বশেষ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার হলো এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ।
এ ব্যাপারে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে লিখা হয়েছে, চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৪৫) ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের পূর্ব উত্তর পাশে নদী থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে নৌ থানা পুলিশ। নৌ পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানাকে বিষয়টি জানায়। পরে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল আজাদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরো জানায়, অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি মুসলিম। পরনে কালো রংয়ের প্যান্ট এবং গায়ে সাদা আকাশি প্রিন্টের ফুল হাতা শার্ট পরা অবস্থায় মৃতদেহটি পাওয়া যায়। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা। লম্বা অনুমান ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএমএস ইকবাল বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা এবং ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর নৌ ওসি আরো বলেন, ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত না হলে দাফনের জন্যে মরদেহ আনজুমানে খাদেমুল ইনসানের নিকট হস্তান্তর করা হবে।চাঁদপুরে একের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ভাবুক মনে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। আর পর্যবেক্ষকদের মনে জেগেছে প্রশ্ন। তাদের কথা, এই লাশের পেছনে মৃত্যুর ঘটনাগুলো কি কাকতালীয় না পরিকল্পিত? আশা করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে এসব মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করে প্রাগুক্ত উদ্বেগ, কৌতূহল ও প্রশ্নের নিরসন করবে।