শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৯

সড়কে ট্রাক্টর চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক

কাজী শাহাদাত
সড়কে ট্রাক্টর চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক

  মতলব উত্তর উপজেলায় যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারী নূরজাহান বেগম (৫৫)-এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে শিশু মুরসালীন (৫)। সম্পর্কে তারা নানী-নাতি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে সুগন্ধি এলাকার মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবঁাধ সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাক্টর চালককে আটক করা যায়নি। কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাবুর্চির স্ত্রী নিহত নূরজাহান বেগম। আহত শিশু মুরসালীন (৫) হানিরপাড় গ্রামের মুছা মৃধার ছেলে।

           স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার সুগন্ধি এলাকার মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বেড়িবঁাধ সড়কে বিকেলে আব্দুর রহিম এন্টারপ্রাইজ নামের ট্রাক্টরটি ইট বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখনই নূরজাহান বেগম তার নাতিকে নিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে নূরজাহান বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত শিশু মুরসালীন (৫)কে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, শিশুটির একটি পা ভেঙ্গে গেছে। অপারেশন প্রয়োজন হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  রেফার করা হয়েছে। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধা নূরজাহান বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে চঁাদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

            মতলব উত্তরে অবৈধভাবে ট্রাক্টরগুলো মালামাল নিয়ে দাপটের সাথে সড়কগুলোতে চলছে। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ এসব ট্রাক্টর সড়কে কীভাবে চলছে তা নিয়ে সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা। আমাদেরও একই জিজ্ঞাসা।  কেননা চঁাদপুরের ২০তম পুলিশ সুপার ও প্রথম  নারী পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের কর্মকালে ২০১৬/১৭ সাল থেকে চঁাদপুর জেলার সর্বত্র সড়কে ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। তারপর থেকে  ৮/৯ বছরে চোরাগোপ্তা ছাড়া নির্বিঘ্নে এই ট্রাক্টর চলাচল দেখা যায় নি। ইদানীং কৃষি জমির টপ সয়েল বিক্রির পর সেটা পরিবহনে, ব্রিক ফিল্ডের মালামাল পরিবহনে ট্রাক্টরের দেদার ব্যবহার চলছে। ফলে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি,  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কঁাচা ও পাকা গ্রামীণ সড়ক, আর প্রাণপ্রদীপ নিভে যাচ্ছে মানুষের। চঁাদপুর জেলায় এই সম্পাদকীয় নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত ট্রাক্টরের সর্বশেষ বলি হয়েছে মতলব উত্তরের বৃদ্ধা নূরজাহান এবং তার নাতি শিশু মুরসালীন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বৃদ্ধা, আর গুরুতর আহত  তার নাতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা ট্রাক্টরের এমন বলি আর মোটেও চাই না। আমরা সমকালীন চেতনায় উজ্জীবিত চঁাদপুরের বর্তমান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম-এর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলতে চাই : পূর্বসূরির পদাঙ্ক অনুসরণ করে কিংবা স্বীয় দায়িত্ববোধ থেকে আপনি চঁাদপুর জেলার সড়কসমূহে ট্রাক্টর চলাচল পুরোপুরি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়