শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৯

এমন কঠোরতার ঘোষণা যেন শিথিল না হয়

অনলাইন ডেস্ক
এমন কঠোরতার ঘোষণা যেন শিথিল না হয়

বুধবার (১৫ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভব রঞ্জন দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এরশাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের বেসিক শিক্ষা শিখাবেন। গণিত ও ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিবেন। চঁাদপুর সদর উপজেলায় শিক্ষার মান খুবই নাজুক। প্রত্যেক শিক্ষককে সকাল নয়টার মধ্যে বিদ্যালয়ে ঢুকতে হবে। নয়টার পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইলিয়াছ আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানছুর আহমেদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা সাফি বন্যাসহ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ। জেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে কোনো নির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও)। আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (বর্তমানে ইউইও, যারা সাবেক 'টিইও' নামে বহুল পরিচিত)। এঁদের বাইরে প্রাথমিক শিক্ষকদের কোনো নির্দেশনা প্রদানে সাধারণত অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায় না। গত বুধবার বিরলভাবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উপরোল্লিখিত সভায় প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে সকল প্রাথমিক শিক্ষককে বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিতির কঠোর নির্দেশনা দিলেন। এটা ইতিবাচক। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ বিভাগীয় সভাগুলোতে এবং প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান/বিশেষ অতিথি হিসেবে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। তঁাদের মধ্যে যঁারা স্পষ্টভাষী তঁারা বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের ফঁাকিবাজি, সময়ানুবর্তিতার অভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, আপনারা চাকুরি করেন ভালো কথা, সময়মত স্কুলে এসে ও সঠিকভাবে পাঠদান করে বেতনটা হালাল করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। চঁাদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলায় নদীর চরাঞ্চলগুলোতে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কতো শতাংশ প্রতিদিন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন, একযোগে একদিন যদি সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ বিদ্যালয় সমূহে ভিজিটে যান, তাহলে সেটার যে করুণ চিত্র খুঁজে পাবেন, তাতে শিহরিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না-এটা পর্যবেক্ষকরা হলফ করে বলতে পারেন। বাস্তব চিত্র হচ্ছে, চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত অস্থানীয় শিক্ষকদের ৮০/৯০ শতাংশ নিয়মিত বিদ্যালয়ে যান না, তারা স্থানীয় নারী-পুরুষের মধ্যে যারা প্রাইভেট টিউটশনিতে অভ্যস্ত কিংবা এসএসসি/এইচএসসি পাস, তাদেরকে মাসিক কিছু পারিশ্রমিক দিয়ে ক্লাস করান। সেজন্যে বলছি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) চাঁদপুর শহর ও শহরতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল নয়টার মধ্যে অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারলেও চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করাটা হবে চ্যালেঞ্জিং। তারপরও তাঁর উপরোল্লিখিত ঘোষণাটি অনেক কাজ দেবে বলে মনে করি। আমরা চাই, তাঁর ঘোষণাটি যেনো কোনোভাবেই শিথিল না হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়