রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪

হেলে থাকা গাছ সরিয়ে আতঙ্ক দূর করুন

কাজী শাহাদাত
হেলে থাকা গাছ সরিয়ে আতঙ্ক দূর করুন

গাছ নিয়ে প্রায়শই নানা বিড়ম্বনার কথা শোনা যায়, দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, গণমাধ্যমে সেটা সংবাদ আকারেও আসতে দেখা যায়। বিশেষ করে সরকারি গাছ হলে জরুরি প্রয়োজনের তাগিদে কিংবা সেটা বিপজ্জনক অবস্থায় থাকলেও সেটা কাটা নিয়ে তো বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি প্রায়শই জানা যায়। ফরিদগঞ্জে ঝড়ে হেলেপড়া এক গাছ নিয়ে এক দোকানদারের দুরবস্থা ও আতঙ্ক এবং তা থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা নিয়ে অতি সম্প্রতি চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে সচিত্র নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন। আর গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হলো আরেকটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।

গতকাল শনিবারের প্রতিবেদনটিতে লিখা হয়েছে, ‘বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে হাতজোড় করে বলেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা আজও হলো না। তাই বাধ্য হয়ে জীবন হাতে নিয়ে টিনের ঘরে বসবাস করছি।’ কথাগুলো জোসনা রাণী (৩৫)-এর। চাঁদপুর শহরের ৮নং ওয়ার্ডস্থ জেটিসি কলোনির বাসিন্দা তিনি। তার বসতঘরের ওপর হেলে আছে বিশাল আকৃতির একটি কড়ই গাছ। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত মাটি না থাকায় ঝড়-বৃষ্টিতে গাছটি উপড়ে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এই গাছটির মোটা মোটা ডালপালা বিপজ্জনকভাবে রাস্তা ও বসতঘরের ওপর ঝুঁকে রয়েছে। যে কোনো সময় গাছটি উপড়ে পড়ে ঘটতে পারে বড়সড় বিপত্তি। এই গাছটি কাটার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সমস্যার বিষয়টিতে জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক, সদর উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো।

যে কোনো কারণে হেলে পড়া এবং গোড়ায় মাটি কম থাকার কারণে উপড়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টিকারী গাছ নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করা ও ছড়িয়ে পড়াটা অতি স্বাভাবিক। কেননা এমন গাছে চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটা বা অপসারণের বিষয়ে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য বিভাগের উদাসীনতা ও দীর্ঘসূত্রিতা থাকে দৃষ্টিকটুভাবেই। এটা কেন সেটা নিয়ে কেউ সাধারণত গুরুত্ব দিয়ে ভাবে না। ভাবে তখনই, যখন গাছে চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে যায়। আমরা চাই, চাঁদপুর শহরের জেটিসি কলোনিসহ যেখানেই হেলে পড়া বা অন্য কোনো কারণে বিপজ্জনক গাছ আছে, সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত কাটা বা অপসারণের ব্যবস্থা করা হোক। অবহেলা, উদাসীনতা, বিশেষ করে দীর্ঘসূত্রিতার আবর্ত থেকে হতাহতের আশঙ্কা সৃষ্টিকারী গাছগুলোর অপসারণ প্রক্রিয়া রেহাই পাক--সে প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়