প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৪৬
জমকালো আয়োজনে চাঁদপুর বইবৃক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
১৩ সেপ্টে্বের সোমবার বেলা ১০টার সময়, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীতে "বইবৃক্ষ"-এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অসিদ বরণ দাস, অধ্যক্ষ-চাঁদপুর সরকারি কলেজ। বিশেষ অতিথি ভিভিয়ান ঘোষ, মিঠুন ত্রিপুরা এবং উপস্থাপকঃ ইব্রাহীম খলিল সজীব। উপস্থিত ছিলেন বইবৃক্ষের সকল সদস্য বিন্দু।
|আরো খবর
উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠ দিয়ে। চাঁদপুরের তারুন্যকে বই এর সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তাদের চিন্তা-ধারা, ইতিহাস ও জ্ঞানের আলোকে সঞ্চালিত করাই বই বৃক্ষের মূল লক্ষ্য। যার মধ্যমে সকল বই প্রেমী মানুষের কাছে জ্ঞানের ভান্ডার আদান প্রদান হবে। ‘ বই বৃক্ষের ’ চাঁদপুর শাখার পথচলা শুরু হলো।
বইবৃক্ষ এটি রাজশাহীর একটা গ্রুপ। যেখানে পাঠকদের বিনামূল্যে বই পড়তে দেওয়া হয়, ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে রাজশাহীর কাঁটাবনের কবিতাক্যাফেতে সামান্য আলোচনা সভার মাধ্যমে বই বৃক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছিলো শুধু রাজশাহী বিভাগের জন্য। আজ তাদের মোট শাখা ১১টি : রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ সদর, নওগাঁ সদরের পৌরসভা নজিপুর এবং দুইটা উপজেলা, ধামইরহাট ও সাপাহার এবং এগারো নাম্বারটি হলো সাপাহারের ছোট্ট শহর আশড়ন্দ।
এইছাড়াও বইবৃক্ষ চাঁদপুর শাখার সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে সুলতান তাছলিমা বলেন, গত মাসেই কোভিডের মধ্যেও আমদের কয়েকটি শাখা থেকে প্রায় ৬১৬ জন পাঠকে বই পড়িয়েছি। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে বই বৃক্ষ এখন অব্দি আমরা প্রায় ৪ ,০০০ চার হাজারেরও বেশি পাঠককে বই পড়িয়েছি। আমাদের বইবৃক্ষের হাত ধরেই বই পড়া শিখেছে প্রায় ২৪৯ জন। ছয়টি শাখাতে "মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগারের সৌজন্যে " আমাদের বৃক্ষে শিশু কর্ণারও রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত শিশুরা বই পড়ছে।
আমাদের বইবৃক্ষের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ২০ জন লেখকসহ ৪টা প্রকাশনি। যারা তাদের বইগুলো আমাদের পাঠাচ্ছে এবং আমরা পাঠকদের দ্বারে দ্বারে পৌছে দিচ্ছি। সেইসাথে আমাদের অভিভাবক হিসেবে যুক্ত আছেন আজকের অতিথিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের বইয়ের মানুষরা। তারা সবসময় বিভিন্নভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন এবং করছেন। আমরা সমস্ত বইবৃক্ষ পরিবার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষকগনসহ বিভিন্ন ডাক্তার,সাংবাদিক,সমাজের সুধীজন বই বৃক্ষের সাথে যুক্ত হলে আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে বহুদূর এগোতে চাই।
বইবৃক্ষের লক্ষ্য : আমাদের তরুন-তরুনীদের বইয়ের জগৎয়ের মধ্যে আনা এবং চিন্তাজগতকে তাদের পরিশুদ্ধ বিনোদনের আর সুশীল চিন্তার ব্যবস্থা করা বইবৃক্ষের উদ্দেশ্য।
বইবৃক্ষের উদ্যোক্তা রমজান আলি ইমন বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা উপজেলাতে বইবৃক্ষের একটা করে শাখা দেওয়া যেখান থেকে পাঠকরা বিনামূল্যেই বাসায় বসে পছন্দের বইটি পড়তে পারবেন। বাংলাদেশে অনেক অনেক পাঠাগার আছে, শত শত বইয়ে পূর্ন, সুন্দর আসবাবপত্রে সাজা কিন্তু পাঠক নেই, শূন্য হাহাকার। আমরা সেই বাধাটাকে কাটিয়ে উঠতে পারি আপনাদের সবার দোয়া কাম্য করছি। আমাদের কোনো শাখাতেই সামান্য একটা বই রাখার তাকও নেই, রুম তো দূরের কথাই তবুও আমরা দুই বছরে ৪,০০০ জনকে বই পড়িয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের তরুনদের শক্তি দিয়ে অনেক বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব শুধু সঠিক গাইডলাইন আরও শুদ্ধ বিনোদন দরকার। বইবৃক্ষ চেষ্টা করছে সর্বদা। সবার দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করছি।