প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২
স্টোর রুমে বিআরটিএ কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ, স্বজনদের দাবি: পরিকল্পিত হত্যা
গাইবান্ধার পৌরসভার দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকায় বিআরটিএ অফিসের ভাড়া করা স্টোর রুম থেকে হৃদয় কুমার (২৪) নামে এক কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও স্বজনরা দাবি করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার বিবরণ: হৃদয় কুমার সিরাজগঞ্জ জেলার কোশাহাটা গ্রামের অমূল্য কুমারের ছেলে। তিনি গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিসের স্টোর রুমের দায়িত্বে ছিলেন এবং স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়ে শাপলা মিল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বাসার স্টোর রুমে হৃদয়কে গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বজনদের দাবি: হৃদয়ের মা মিনতি রানীসহ স্বজনরা জানিয়েছেন, হৃদয়ের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না। তার পারিবারিক জীবনেও কোনো সমস্যা ছিল না। তারা দাবি করেছেন, এটি আত্মহত্যা নয়; পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে হৃদয়কে দুই অজ্ঞাত যুবকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাসার সামনে দেখা যায়। এর পরপরই স্টোর রুমে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের বক্তব্য:: বাসার মালিক আলী ইকবাল জানান, বিআরটিএ অফিস দীর্ঘদিন ধরে বাসাটি স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এখানে প্রতিদিন মোটরসাইকেলের নাম্বার প্লেটসহ বিভিন্ন মালামাল বিতরণ করা হয়। পুলিশের মন্তব্য: সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।” গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা জানান, “ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিআইডি। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি।” এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হৃদয়ের স্বজনরা দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।