প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৮
যেভাবে হোক, ওরা যেনো আসলো আলোতে
চঁাদপুর কণ্ঠে গতকাল ‘চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বরণ’ শিরোনামের সংবাদটি পড়ে অনেক পাঠকই বেশ আনন্দিত হয়েছেন এবং কৌতূহল মিটাতে পেরে বেশ তৃপ্তিবোধ করেছেন। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বরণ করে নিয়েছে ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চঁাদপুর জেলা শাখা। ২২ অক্টোবর রাত ৮টায় চঁাদপুর শহরের রেড চিলি চাইনিজ রেস্তোরঁায় এই বরণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি ডাঃ এমএ তাহের। সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, বিগত স্বৈরশাসকের লুটপাটের কারণে আজ দেশের এ অবস্থা হয়েছে। বিগত দিনের সকল ভুল ঠিক করে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। কে কোন্ দল করছো তা আমাদের কাছে বিবেচনার বিষয় নয়, কে ভালভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছ তা আমাদের দেখার বিষয়। তোমরা আজ ৩৮ জন ডাক্তার, তোমাদের একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ তৈরি করে নেবে, যাদের নেতৃত্বে তোমরা তোমাদের সমস্যা পরিচালক মহোদয়ের কাছে তুলে ধরতে পারবে।
চঁাদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ আহমেদ কাজলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ সালেহ আহমেদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চঁাদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা ডাঃ জাহাঙ্গীর খান, চঁাদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান, চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ হারুন-অর-রশিদ, ডাঃ আজাদ, ইন্টার্ন ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ডাঃ ইসফাত জাহান ও ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন রাহি। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার কোনো ধরনের ইনফ্রাসট্রাকচার তৈরি না করে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করে মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়। বর্তমানে আমরা অস্থির একটি সময় পার করছি। অস্থির সময়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান চ্যালেঞ্জিং কাজ। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চঁাদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্নিতে যোগদান করার পর হাসপতালে সেবার মান অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ভালো বিষয়টি নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ হয়নি, যা দুঃখজনক।
চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তারদের এই দুঃখবোধে আমরা একাত্ম। তাদের কারণে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চঁাদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান পূর্বের সকল সময়ের তুলনায় অনেক গতিশীল হয়েছে, সেটা বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। কথা হলো, বিষয়টিকে সংবাদের উপজীব্য করতে নিকটবর্তী চঁাদপুর প্রেসক্লাবে কি মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে ন্যূনতম যোগাযোগ করা হয়েছিলো? গণমাধ্যমের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের গ্যাপ আছে বলে মনে হচ্ছে। কলেজের নিজস্ব প্রচার সেল কিংবা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আছেন বলে আমাদের জানা নেই। ড্যাবের সংবর্ধনার কারণে চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ৩৮জন ইন্টার্ন ডাক্তার যে ইন্টার্নশিপ করছে সেটা জানা গেলো। যেভাবেই হোক, ওরা যেনো আসলো আলোতে। আশা করি, এখন থেকে জাতীয় গণমাধ্যমে না হোক, স্থানীয় গণমাধ্যম তথা লোকাল পত্রিকায় ইন্টার্ন ডাক্তারদের কার্যক্রম উঠে আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সেশনে চঁাদপুর মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরুর জন্যে অপেক্ষা না করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চঁাদপুর জেনারেল হাসপাতালের সীমিত পরিসরে নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মাঝে চালিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে এই কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। তারপরও প্রথম ব্যাচের ৩৮ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস পাস করেছেন এবং তারা ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে ইন্টার্নশিপ করছেন--এটা অনেক বড়ো সুসংবাদ। এজন্যে তাদের সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি চঁাদপুর জেলাবাসীর পক্ষে আমরা কৃতজ্ঞতা জানানোর ফুরসতটুকু নিলাম।