প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩১
ফিলিস্তিনের পক্ষে লন্ডনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের মিছিল
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে। রোববার দুপুর ২টায় হাজার হাজার মানুষ রাসেল স্কোয়ার থেকে হোয়াইট হল পর্যন্ত ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে আহূত সমাবেশে পায়ে হেঁটে যোগদান করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেওয়ার জন্যে সারাদেশ থেকে সবাই লন্ডনে সমবেত হন।
‘এখনই যুদ্ধবিরতি’ এবং ‘এখন বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন’ এই বার্তা সম্বলিত ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করতে লোকজনকে দেখা যায়।
মিছিলকারীদের মধ্যে ‘বেঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের একটি দল ছিল। দলের সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১২ মাস ধরে ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে। কারণ ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নৃশংসতা চালিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক হামলা চালিয়েছে।
বাঙালির মিছিলে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস্-এর প্রাক্তন কাউন্সিলর শহীদ আলী, বর্ণবাদ বিরোধী এক্টিভিস্ট রফিক উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস্-এর প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়নাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট তৈমুস আলী, লুকমান উদ্দিন, আলা মিয়া আজাদ, জামাল আহমেদ খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, শফিক আহমেদ, মজিবুল হক মনি, সৈয়দ গুলাব আলী প্রমুখ।
মিছিলকারীরা জানান, ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার দাবিতে আমরা মিছিল করছি। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করছি। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের বেন জামাল বলেছেন, শনিবার হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মিছিল করেছে। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে
এমন গণহত্যায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গাজার সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে এবং ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে । কয়েক মাস ধরে আমরা সতর্ক করে আসছি যে, ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্যে দায়মুক্তি প্রদান করলে তা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঝুঁকির মধ্যেই রাখবে না বরং একটি বিস্তৃত অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন যে, গত সপ্তাহে আমরা এই বাস্তবতাকে উন্মোচিত হতে দেখেছি। ইসরায়েল লেবানন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যা শত শত বেসামরিক নাগরিক সহ এক হাজার জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু ছিলো। এখন আমরা একটি বড়ো যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তাই এখন বসে থাকার সময় নয়।