প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ১৫:১৯
পবিত্র হজ আজ লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর থাকবে আরাফাত ময়দান
পবিত্র হজ আজ। ৯ জিলহজ (সৌদি আরবের স্থানীয় সময়) আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’-এ ধ্বনিতে আজ মুখর থাকবে আরাফাতের ময়দান।
|আরো খবর
সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিচ্ছেন।পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে। শুক্রবার (স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ) সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফের পর বিকেল থেকেই হাজিরা মক্কা থেকে আট কিলোমিটার দূরের মিনার উদ্দেশে কেউ হেঁটে, আবার কেউ গাড়িতে চড়ে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন। অন্যান্য দেশের হাজীদের সাথে বাংলাদেশের ৮৫ হাজার হাজীও রওনা হন মিনার পথে। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নালহামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’ মিনায় পৌঁছে হাজীরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। মিনায় রাতে অবস্থান করে হাজীরা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
আজ শনিবার হাজীরা আরাফাত ময়দানে সমবেত হবেন। তবে গতকাল রাতেই অনেকে মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানের দিকে রওনা হন। আরাফাতে যাওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে মুসল্লিরা হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে- যে যেভাবে পারেন পৌঁছবেন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে। মিনা থেকে এসে হাজিরা এখানে খুতবা শোনার পর একই সাথে জোহর ও আসরের নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করবেন। এ আরাফাতের ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াকল আল মুয়াইকিলিকে নিযুক্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ। একইসাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজ পড়াবেন তিনি।
এবার বিশ্বের ৫০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা। বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের মানুষের কাছে হজ ও ইসলামের শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। ৫০টি ভাষার মধ্যে অন্যতম হলো- বাংলা, ফরাসি, ইংরেজি, ফার্সি, উর্দু, হাউসা, রুশ, তুর্কি, পাঞ্জাবি, চীনা, জার্মান, সুইডিশ, ইতালিয়ান, মালায়ালাম, বসনিয়ান, ফিলিপিনো, মালয়, সোয়াহিলি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ এবং আমহারিক ইত্যাদি। খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক এবং নাজমুস সাকিব। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। স্মার্ট ফোন, হারামাইন শরিফাইনের ওয়েবসাইট, মানারাতে হারামাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে শোনা যাবে হজের খুতবা।