প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২১, ২০:২০
ভুল চিকিৎসায় ক্ষয়-ক্ষতিতে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ
জনৈক চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বরাবর চিঠি দিয়েছেন ভুক্তভোগী। সেই চিঠির হুবুহু তার ফেসবুকে টাইমলাইনে শেয়ার করেন। তার সেই চিঠির হুবুহু চাঁদপুর কণ্ঠের অনলাইন পাঠকের নিকট তুলে ধরা হলো।
|আরো খবর
(আমার স্ত্রীর নাকের ভুল অপারেশন করায় ডা. আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আজ অভিযোগ দায়ের করা হয়।)
বরাবর, জেলা প্রশাসক মহোদয়, চাঁদপুর।
বিষয়ঃ আমার স্ত্রীকে ভুল চিকিৎসা করায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ ডা.আহসান উল্লাহকে চাকরি থেকে অপসারণ ও ক্ষতিপূরণের দাবী প্রসঙ্গে।
মহোদয়, বিনীত নিবেদন এই যে, চাঁদপুর সদর হাসপাতালের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আহসান উল্লাহর কাছে নাকের হাড়ের অপারেশন করিয়েছিলাম আমার স্ত্রীর। তার নাম তাহমিনা আক্তার। বিগত ১৯ আগস্ট ২০২০ সালে শহরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে এ অপারেশন করানো হয় (কপি সংযুক্ত)। অপারেশন সফল না হওয়ায় একবছর যাবৎ নাক পঁচে দুর্গন্ধ বের হতো। রক্ত বের হতো। ভালোভাবে খেতে পারতো না। প্রচন্ড ব্যাথায় মাঝে মধ্যে কাতর হয়ে যেতো। অপারেশন করার পর ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার দ্বারা নাকের ময়লা ফালানো হয়। কিন্তু সমস্যা থেকেই গেলো। চাঁদপুর সদর হাসপাতালেও তার কাছ থেকেই চিকিৎসা নেয়া হয় (কপি সংযুক্ত)।
সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ডা. এম এ জামান সাহেবকে শহরের মিডল্যান্ড হাসপাতালে তিনবার দেখানো হয়(কপি সংযুক্ত)। তারপরও কোন উন্নতি হয়নি বরং অবনতির দিকে যাচ্ছিলো। কয়েক দফায় ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ১৮ আগস্ট ২০২১ ঢাকা পিজি হাসপাতালের হেড নেক সার্জন ডা. দেলোয়ার হোসেনকে ঢাকা হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে প্রাইভেটভাবে দেখাই (কপি সংযুক্ত)। তিনি নাক থেকে ব্যান্ডেজের অংশবিশেষ প্রায়৪/৫ ইঞ্চি কিছুটা শক্ত প্লাস্টিক বের করেন। ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাকের হাড় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কেটে ফেলা হয়েছে। এবং নাকের হাড় ক্ষয় হয়েছে।
একবছর যাবৎ আমার স্ত্রী এমন কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে দিনাতিপাত করেছিল। তবে এখন সে অনেকটা ভালো। পুরোপুরি সুস্থ্য নয়। একবছর ধরে কফের সাথে রক্ত যেতো। এ রকম অনভিজ্ঞ ও অগাধ বাণিজ্যিক ডাক্তারের অনতিবিলম্বে অপসারণ চাই। আমার স্ত্রীর অপারেশন চার্জ, ডাক্তার ভিজিট, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ঔষধ-পথ্যসহ প্রায় লক্ষাধীক টাকা ব্যয়। তাই পুরোপুরি সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণও দাবী করছি।
উল্লেখ্য, অপারেশনের দিন থেকে চারদিন ক্রিসেন্ট হাসপাতালে থেকেছে। কিন্তু ডাক্তার আহসান উল্লাহ অপারেশনের পর সশরীরে এসে কোনরকমের খোঁজখবর নেয়নি।
অতএব, বিনীত অনুরোধ উল্লেখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কৃতার্থ হবো।
নিবেদক : (মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন), পূর্বশ্রীরামদী, পুরাণবাজার, চাঁদপুর।
সূত্র : https://www.facebook.com/profile.php?id=100006757278276