প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫২
মালয়েশিয়া পাসপোর্ট সেবা নিয়ে ভোগান্তি : অবৈধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেক প্রবাসীর
মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট সেবা নিয়ে ডিজিটাল ভোগান্তিতে প্রবাসীরা এতে করে মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া রিক্যালিব্রেশন কর্মসুচিতেও অংশ নিতে পারছেন না ভুক্তভোগী প্রবাসীরা।
|আরো খবর
গত বছরের মার্চ থেকে মালয়েশিয়া সরকার বিভিন্ন মেয়াদে মহামারি উত্তরণে চলছে বিধিনিষেধ । আর এ বিধি নিষেধের কারণে লোক সমাগমের উপরও করা হয় কঠোর আইন। এমন পরিস্থিতে প্রাবাসী বাংলাদেশীদের কথা চিন্তা করে দূতাবাস স্ব-শরীরে এসে পাসপোর্ট গ্রহন না করতে এবং একই সঙ্গে পোষ্ট অফিসের মাধমে পাসপোর্ট জমা দিতে জারি করা হয় নোটিশ। দূতাবাসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান প্রবাসীরা রি-ইসু ফরম জমা দেয়ার সময় ফরমে দেওয়া নাম্বারে ফিরতি এসএমএস দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপলোড করে যাচ্ছিল প্রবাসীদের ভোগান্তি কমাতে দূতাবাস থেকে হেল্পলাইন চালু করা ছিল পড়ে তা বন্ধ করে দূতাবাসের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে করে আসছে ডিজিটাল এই প্লাটফর্মে যেমন উপকৃত হয়েছে ভোগান্তি ও বাড়ছে সমানতালে ভোগান্তি বাড়ে প্রবাসীদের
১ থেকে ৩ মাস বা তার অধিক সময় চলে গেলেও অনলাইনে নামও পাওয়া যায় নি আবার অনেকের দূতাবাসের দেওয়া এম ওয়াই এস নাম্বারের সাথে নামের মিল না থাকায় মাসের পর মাস পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন না এমনও অভিযোগ রয়েছে প্রবাসীদের।
এ দিকে মালয়েশিয়ায় ক্রমেই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধে দূতাবাসে এসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয় এতে ব্যাঘাত ঘটে বন্ধ করে দেওয়া হয় দূতাবাস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ কার্যক্রম চালু করা হয় পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতারণ মালয়েশিয়ায় জুড়ে ৩৬টি পোস্ট অফিসে নিকটবর্তী নির্ধারিত পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা পেয়ে থাকলেও এতে রয়েছে নানান অভিযোগ
অনলাইনের মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন সম্পুর্ণ দুই দিনের মধ্যে পোস্ট অফিসে বারকোড দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ রয়েছে অনেকের মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও বারকোড পাইনি দূতাবাসের হটলাইন সেবা বন্ধ করে দেওয়াতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে পারছে না প্রবাসীরা। সময় মত পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় অনেক প্রবাসী ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে না পেরে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন। অনেকের দূতাবাসে পাসপোর্ট এসে মাসের পর মাস পড়ে থাকলেও অনলাইনে নিজের পাসপোর্ট ডেলিভারি নম্বর না পাওয়ায় সময় মত পাসপোর্ট পাচ্ছেন না, দূতাবাসের সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নিরুপায় হয়ে প্রবাসীরা কঠোর লকডাউন এর মধ্যেও দূতাবাসে এসে সঠিক সমাধান না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে করে অসহায় প্রবাসীরা বাধ্য হচ্ছেন দালালের দারস্থ হতে। আবার কেউ বা অভিযোগ করছেন টাকার বিনিময়ে দূতাবাসে না গিয়েও মিলছে পাসপোর্ট সহ সকল সেবা। কুয়ালালামপুর হাইকমিশনে বিভাগের দায়িত্বে থাকা দুতালয় প্রধান রুহুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। অনলাইন প্লাটফর্ম কে আরো কার্যকর করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যাগুলো সমাধান না হলে যেমন বৈধতার সুযোগ হারাবে অনেক প্রবাসী আবার অনেকে অবৈধ হয়ে যাবে সময়মত পাসপোর্ট হাতে না পেলে।