সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৪

ব্যস্ত সময় পার করছে কচুয়ার ছাতা কারিগররা

মেহেদী হাসান
ব্যস্ত সময় পার করছে কচুয়ার ছাতা কারিগররা
ছাতা কারিগর মিজানুর রহমান

ব্যস্ত সময় পার করছে কচুয়ার ছাতা কারিগররা। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ছাতা কারিগরদের। সারা বছর ঘরে তুলে রাখা ছাতা মেরামত করতে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে কারিগরদের কাছে নিয়ে আসেন ছাতা ব্যবহারকারীরা। বহু আগে কাঠের হাতলের ছাতা থাকলেও বর্তমানে ছাতার হাতল ও কাপড়ে এসেছে বৈচিত্র।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ছাতা কারিগরদের এমন ব্যস্ততা চোখে পড়ে। উপজেলার কচুয়া, সাচার, পালাখাল, রহিমানগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। তবে ছাতা মেরামতের সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু বেশি টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ ছাতা ব্যবহারকারীদের।

কচুয়া বাজারের ছাতা কারিগর মোঃ মিজানুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরনো ও নষ্ট ছাতা মেরামত করতে তাদের কাছে ছুটে আসে ছাতা ব্যবহারকারীরা । তিনি দৈনিক ২০-২৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। এতে তার দৈনিক আয় হয় ১ হাজার টাকা। তবে বছরের অন্য সময় এতো ব্যস্ততা থাকে না। পৈতৃক সূত্রে তিনি এ পেশায় জড়িয়েছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, আমি ৩০ বছর ধরে ছাতা মেরামতের পাশাপাশি মাছ শিকার করার চল এবং তালার ছাবি তৈরি করে থাকি।

কচুয়া বাজারে ছাতা মেরামত করতে আসা মোঃ রাসেল জানান, তার ঘরে দুটি ছাতা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ছাতা গুলো মেরামত করতে কচুয়া বাজারে নিয়ে আসেন। একটি ছাতা মেরামত করতে ৪০টাকা থেকে ৭০ টাকা নিচ্ছে ছাতার কারিগর।

ছাতা কারিগর আঃ রহিম জানান, তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাতা মেরামত করে থাকেন। এটি তার পৈতৃক পেশা, তিনি দৈনিক ৩০-৩৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। তা দিয়ে বৃষ্টি মৌসুমে ভালোই চলে তার সংসার। অন্য সময়ে অলস বসে থাকতে হয় তাকে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়