প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৫
ইতালিতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
গভীর শ্রদ্ধার সাথে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহর্ধমিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ৮ আগষ্ট স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে
|আরো খবর
জুম প্লাটর্ফমে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দূতাবাসের
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, ১ মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ,তার জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, আলাচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ইতালি,মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন নেছা এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ রাতে নিহত সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত,শহিদ শেখ ফজিলাতুন নেছার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন,বঙ্গমাতার আর্দশ বাঙ্গালি নারীদের কাছে সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে চিরদিন ছায়াঁর মতো থেকেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটময় ও কঠিন মুহুর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নীরবে সহায়তা করে গিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, স্বাধীনতা পরর্বতী দেশ বির্নিমাণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বঙ্গমাতা শুধু জাতির পিতার সহধর্মিনী ছিলেন না, একই সাথে বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম অগ্রপথিক ছিলেন।এসময় রাষ্ট্রদূত সকলকে বঙ্গমাতার আর্দশে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব এ এস এম সায়েম।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণমাধ্যম কর্মীরা ডিজিটাল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে কম্যুনিটির বক্তারা বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার আদর্শ অনুসরণের উপর জোর দেন।
জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এবং কমিউনিটির অন্যান্যরা জুম মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।