প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১৩:১৬
কুমিল্লার সন্তান উত্তম গুহ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একজন খ্যাতিমান ফ্রীল্যান্স আর্টিস্ট
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্ম গ্রহণ করেণ যাদেরকে মানুষ এক নামেই চিনে। উত্তম গুহ তাঁদেরই একজন। কুমিল্লার কৃত্বি সন্তান উত্তম গুহ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একজন খ্যাতিমান ফ্রীল্যান্স আর্টিষ্ট। তাঁর মত একজন কীর্তিমান শিল্পীর জন্ম এ কুমিল্লার মাটিতে। তিনি দুই যুগেরও বেশী সময় জুড়ে চলচ্চিত্র এবং আকাঁ আঁকির জগতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিচরণ করছেন। তিনি কেবল একজন শিল্পীই নন, একজন শিল্পনির্দেশক, ভাস্কর, ইন্টোরিয়র ডিজাইনার, প্রচ্ছদ শিল্পী, নাট্যকার, অভিনেতা, পরিচালক, মঞ্চকর্মী এবং সংগঠকও বটে।
এই কর্মযোগী মানুষটি কুমিল্লা মহানগরীর মোগলটুলীতে এক সম্ভ্রান্ত সংস্কৃতিবান পরিবারে ১৯৬২ সনের ৩০ সেপ্টেম্বর পিতা পরেশ নাথ গুহ ও মাতা প্রীতিলতা গুহ এর ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন। ছয় ভাই, ছয় বোনের মধ্যে উত্তম গুহ সংখ্যার দিক থেকে এগার নম্বর সন্তান। বড় ভাই দিলীপ কুমার গুহ (জুয়েল) ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তঃর্জাতিক ফুডবল রেফারী। অন্যান্য ভাই বোনেরা সবাই কুমিল্লা সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং খেলাধুলায় এক সময় পরিচিতি মূখ ছিল। উত্তম গুহ ১৯৭৭ সনে কুমিল্লা বুড়িচং ভরাসার হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক পাস করে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ থেকে প্রি. ডিগ্রী (উচ্চ মাধ্যমিক) এবং একই কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে বি.এফ.আই (ব্যাচেলার অফ ফাইন আর্টস) ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে এম, এফ, এ (মাষ্টার অফ ফাইন আর্টস) ডিগ্রী অর্জন করেন। নিরলস পরিশ্রম, কর্মের প্রতি একাগ্রতা, নিষ্ঠা, সময়ানুবর্তীতা এসবই উত্তম গুহকে আজ সমগ্র জাতীর কাছে পরিচিত করে তুলেছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন প্রাইভেট চ্যানেলে প্রচারিত উত্তম গুহের কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত আঁকারে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
রচনা , চিত্রনাট্য, এবং পরিচালনা :টেলিফিল্ম : ইস্টার সানডে ইন দার্জিলিং, অরন্যে অনন্যা ও চিনিলেনা আমায় ।
ধারাবাহিক নাটক : হিয়ার মাঝে, সপ্তর্ষী, বেয়াইন সাহেবা, দীপান্বিতা।
এক ঘন্টার নাটক : দৌঁড় শুধু দৌঁড়, অকৈতব, ত্রয়ী সমাচার, কোথায় যেন দেখেছি, আমার আয়নায় তুমি, সহস্রধারা, ফেল্টু চেয়ার ম্যান, কুঞ্জুস-কুঞ্জুস, যে সয় সে রয়, পরাবান্তব ইত্যাদি।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : দ্যা সিটি কেইজ (কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য. চিত্রগ্রহন, শিল্পনির্দেশনা ও পরিচালনা)। যা ইন্টার ন্যাশনাল চিলড্রেন ফেষ্টিভ্যাল এ প্রদর্শীত হয়।চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ :
১৯৭৭-৮৩ : চারুকলা কলেজ আয়োজিত সকল শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ।
১৯৭৭-৮৩ : আঁলিয়া ফ্রাঁসোয়া, চট্টগ্রাম আয়োজিত সকল চিত্রপ্রদর্শনী।
১৯৮১ : সোসাইটি অফ ফাইন আর্টস আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী, রাজশাহী।
১৯৮২ : শিল্পকলা একাডেমী চট্টগ্রাম আয়োজিত নববর্ষ ১৩৮৯ বাংলা, চিত্রপ্রদর্শনী ।
১৯৮৩ : ৮৭ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগ আয়োজিত সকল চিত্রপ্রদর্শনী ।
১৯৮৫ : সপ্তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৫ : নববর্ষ উপলক্ষে চারু শিল্পী সংসদ আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৫ : বাংলাদেশ যুবউৎসব, নাটোর আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী, নাটোর।
১৯৮৫ : সপ্তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৬ : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্মরণে চারুকলা প্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৬ : অষ্টম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৭ : ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী-ঢাকা।
১৯৮৮ : দশম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, ঢাকা।
১৯৮৯ : চতুর্থ দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ।
২০০৩ : চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী, চট্টগ্রাম।
২০১১ : চট্টগ্রাম চারুকলা পরিষদ ঢাকা ও শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী ঢাকা।
২০১২ : চট্টগ্রাম চারুকলার ৪০ বছর উপলক্ষে চিত্রপ্রদর্শনী, চট্টগ্রাম।
২০১৩ : মাস্টার অব আদার্স শিরোনামে শিল্পাঙ্গন চিত্রশালা আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী, ঢাকা।
উত্তম গুহের একক চিত্র প্রদর্শনী :
১৯৭৯ : জনান্তিক শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত-কুমিল্লা।
১৯৮১ : শতদল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আয়োজিত, কুমিল্লা।
১৯৮৩ : ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
১৯৮৩ : লিওক্লাব আয়োজিত, কুমিল্লা।
১৯৮৬ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় একুশ উদ্যাপন কমিটি আয়োজিত, চট্টগ্রাম।
১৯৮৬ : চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত, চট্টগ্রাম।
২০১২ : যাত্রী সাহিত্য- সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত, কুমিল্লা ।
উত্তম গুহ পুরস্কার পেয়েছেন :
১৯৮১ : চারুকলা কলেজ বার্ষিক চিত্রপ্রদর্শনীতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পুরষ্কার।
১৯৮৩ : কুমিল্লা কালচারাল কমপ্লেক্স আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীতে পেইন্টিং-এ প্রথম পুরস্কার।
১৯৯৫ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “অন্যজীবন” ছবিতে।
১৯৯৫ : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “অন্যজীবন” ছবিতে।
১৯৯৯ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “চিত্রানদীর পারে” ছবিতে।
২০০২ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “হাসন রাজা” ছবিতে।
২০০২ : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “হাসনরাজা” ছবিতে।
২০০৪ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “লালন” ছবিতে।
২০১২ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “রাজা সূর্য খাঁ” ছবিতে।
২০১৩ : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “মৃত্তিকা মায়া” ছবিতে।
২০১৩ : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশনায় “মৃত্তিকা মায়া” ছবিতে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে অশংখ্য বার সন্মাননা, সম্মর্ধনা পেয়েছেন।
উত্তম গুহের স্থাপিত নিদর্শন :
(ক) কুমিল্লা টাউনহলে কুমিল্লার কৃতি সন্তানদের স্মৃতিরক্ষার্থে মনুমেন্টের নকশা নির্মাতা।
(খ) কুমিল্লা টাউনহলে বীর চন্দ্র মানিক্য বাহাদুরএর ফ্রেসকোচিত্র (ম্যূরালচিত্র) নির্মান।
(গ) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে “চেতনায় নজরুল”নামে ভাস্কর্য নির্মান।
(ঘ) কুমিল্লাা পুলিশ সুপার মার্কেটে “দোয়েল”নামে ভাস্কর্য নির্মান।
(ঙ) কুমিল্লার মুরাদ নগরে কবি নজরুল ইসলামের বাড়ীর “মূল তোরণ”-এর (রাস্তার উপরে) নকশা নির্মাতা।
(চ) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় “স্মৃতি ৭১” নামে ভাস্কর্য নির্মাণ।
(ছ) ঢাকার বাইশ পঞ্চায়েত সর্দারী প্রথার প্রথম সর্দার মীর্জা আব্দুল কাদের সর্দারের ১৬ ফিট/ ১০ ফিট পরিমাপের ফ্রেসকোচিত্র (ম্যূরাল চিত্র) নির্মান।
(জ) কুমিল্লা পৌর-পার্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিরুর রহমান এর ২০ ফিট/ ১৮ ফিট পরিমাপে ফ্রেসকোচিত্র (ম্যূরাল চিত্র) নির্মান।
(ঝ) কুমিল্লা স্টেডিয়ামের সিংহদ্বারে প্রথম বাংলা ভাষার উত্থাপক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত এর ফ্রেসকোচিত্র (ম্যূরাল চিত্র) নির্মান।
(ঞ) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য নির্মান।উত্তম গুহের আঁকা ছবি ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে :
বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি আরব, চীন, জাপান, বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ও সিঙ্গাপুর এ সংরক্ষিত আছে। এর ফলে প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের দীপ্তি। এই ভাবনাকে তিনি তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও সেমিনার এ তুলে ধরেছেন। তিনি দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে দেশের জন্য বিরল গৌরব বয়ে এনেছেন। এ সমস্ত সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে বিশ্বের প্রতিথযশা শিল্পী,কলাকৌশলী, চলচ্চিত্র প্রেমিকদের সামনে উত্তম গুহ নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে প্রোজ্জ্বলিত করে তুলেছেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও উত্তম গুহ নানা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
ফ্রিল্যান্স আর্টিষ্ট উত্তম গুহ এর ব্যক্তিগত জীবন সুখসমৃদ্ধময়। চট্টগ্রামের সংস্কৃতিমনা পরিবার বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী আর রনিতা চৌধুরীর প্রথম সস্তান চিত্রলেখা চৌধুরীকে ১৯৮৬ সনের ২৮ এপ্রিল ভালবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। স্ত্রী চিত্রলেখা গুহ মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। এখন দেশের একজন খ্যাতিমান, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ নাটকের অভিনেত্রী। উত্তম গুহ ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। ২০১৫ সালে বড় মেয়ে অর্নিলা গুহ নোলক নর্থ সাউথ ইউর্নিভাসিটি থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে অর্নাস শেষ করেছেন, বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত ইংরেজী সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করছেন, উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে এবং একই সালে ছোট মেয়ে অর্নিশা গুহ নৈরীত ঢাকা ধানমন্ডী সেন্ট জুস স্কুল থেকে জানুয়ারীতে “এ”- লেভেল দিচ্ছেন, একই সাথে ঢাকা ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে মনিপুরী নাচের উপর তালিম নিচ্ছেন। উত্তম গুহ এক সময় কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে ফার্স্ট ডিভিশনে ফুটবল খেলতেন, তাই এখনো ফুটবলকেই বেশী ভালবাসেন, ক্রিকেটের প্রতিও ভালবাসার কমতি নেই। আর্তমানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গকারী এই শিল্পী অবসরে সব ধরণের বই পড়েন, ছবি আঁকেন, ক্লাসিক মুভি দেখেন,গান শোনেন রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি সহ যেকোন শুদ্ধ সঙ্গীত। তাঁর কর্মের স্বীকৃতি ও জনকল্যাণে তাঁর অতুলনীয় অবদানের জন্য এ পর্যন্ত ছয় বার চলচ্চিত্রে শিল্পনির্দেশনায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুই বার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক পুরস্কারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা থেকেও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি আমন্ত্রীত অতিথি হয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণও করেছেন। উত্তম গুহ বর্তমানে চলচ্চিত্রের শিল্পনির্দেশনা ও অন্যান্য শিল্পচর্চা সাথে সাথে ঢাকা ইউনুভার্সিটির টেলিভিশনও ফিল্ম স্টাডিজ ডিপার্টম্যান্ট, বাংলাদেশ সরকারী ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এ নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এ,বি,সি,ড্রিম ভ্যালীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।লেখক : একজন আইনজীবী, সংবাদকর্মী ও সংগঠক, কুমিল্লা।
মোবাইল: ০১৭১৪-৩৭৩৬০৫/০১৮৪৬-৩৯২০৫৫
ই-মেইল : [email protected]