রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:২৮

ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

জমির হোসেন
ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মোঃ আল আমিন এবং প্রথম সচিব (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিকী। এসময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় বক্তাগণ মুক্তিযুদ্ধে এবং তৎপরবর্তি জাতি গঠনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় অবদান তুলে ধরেন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন যে, দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুই এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে নেতৃত্বের আসনে রেখেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তার নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে দেশকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব উপহার প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ আস্বাদন করে বাঙ্গালি জাতি। তিনি বলেন পুরো জাতিই সেদিন বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল, এবং আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। এ পর্যায়ে তিনি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ধ্রুপদি বক্তৃতার উদ্ধৃতিটি তুলে ধরেন, “আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র”। অবশেষে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার সম্মানে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে যে যার স্থান হতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সকল শহিদ, দেশ ও দেশের কল্যানে জীবন উৎসর্গকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়