প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২২, ০৮:৩৪
জার্মানিতে চাঁদপুরের মেয়ে মমতাজের অভূতপূর্ব সাফল্য
হাইমচর চাঁদপুরের মনজু সরকার তিন দশক আগে জার্মানিতে আসেন উন্নত জীবনের অভিপ্রায়ে। অন্য দশ-পাঁচজন প্রবাসীর মতো একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা তিনি। স্ত্রী তাসমিন সুলতানা মিতাও কর্মজীবী নারী। তাদের দুই সন্তান- ছেলে বড় বয়স ১৮। মেয়ে ছোট বয়স ১২- নাম অনিন মমতাজ। পড়তো ষষ্ঠ শ্রেণীতে রয়মার হোপ প্রথম মানের স্কুলে ফ্রাঙ্কফুর্টে।
|আরো খবর
সম্প্রতি মমতাজ অংকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পুরো ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের দশম শ্রেণীর ছাত্রদের মধ্যে একটা গণিতের পরীক্ষা হয়। সেখানে নিচের শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরাও অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। মমতাজ বাবা-মাকে না জানিয়ে ওই গণিতের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ১২৭ জন, মমতাজ ছিল সর্ব কনিষ্ঠ। টোটাল ছয় ঘণ্টার পরীক্ষা মমতাজ ১ ঘণ্টা বিশ মিনিটে শেষ করে এবং ১০০ মার্কের মধ্যে ১০০ নম্বরই পায়। সে ছাড়া অন্য কেউ পাশের মার্কও পায়নি। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সে ফলাফল পায় এবং স্থানীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মেয়র অফিস থেকে অভিনন্দন জানায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয় যে, মমতাজের ৭ম, ৮ম, ৯ম শ্রেণীতে পড়তে হবে না, সরাসরি দশম শ্রেণীতে পড়তে পারবে । মাসে ৩৫০ ইউরো বৃত্তি পাবে। পুরো জার্মানি বিনামূল্যে ভ্রমণ সুবিধা পাবে।
মমতাজ বিনাপারিশ্রমিকে বাংলাদেশি বাচ্চাদের গণিত শেখাবার ঘোষণা দিয়েছে। তার ইচ্ছা তার মতোই সব বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী গণিত শিখুক। ১২ বছরের মমতাজ ইতোমধ্যেই শিকড় কথা নিয়ে দুইটি বই লিখেছে। বাবা-মা স্বাভাবিক জীবনের পাশাপাশি “বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্ট“ নামে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ছাড়াও বাংলাদেশে সহায়তামূলক অনেক কাজ করেন।