প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২২, ২২:০৫
৯ জিলহজ্ব চাঁদপুর ও দেশের বহুস্থানে পবিত্র ঈদুল আজহা
৯ জুলাই শনিবার হাজীগঞ্জ উপজেলাহ দেশের বহু গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। ১৯২৮ সালে দেশে এই নিয়ম প্রচলন শুরু করে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ। এরপরে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গ্রামে এই নিয়ম প্রচলন শুরু হতে থাকে।
|আরো খবর
সাদ্রা দরবার শরীফ সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে প্রথম ঈদের জামাত শুরু হবে। ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাওঃ মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী। এছাড়াও অন্যান্য মসজিদে ঈদের জামাতে মেঝো হুজুর মাওঃ আবু বকর মোঃ ইসমাইল, সেজো হুজুর মাওঃ আবুল খায়ের ইমামতি করবেন। সাদ্রা ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ, সমেশপুর ঈদগাহেও জামাত শুরু হবে।
জানা যায়, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন পীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আজহা পালন উদ্যাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের মানুষ দেশে আগাম রোজা ও আগাম ঈদ পালন শুরু করে।
এ বছর সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে ঈদ পালন করেছেন। তাদের মধ্যে দুপক্ষই বলছেন, সৌদি আরব নয়, তারা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।
স্থানীয়দের সূত্র জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, হুরুমচাইল, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, কাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, একতা বাজার, মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি গ্রামে মাওঃ ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদ্যাপন করছে।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদ্যাপন করে থাকি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানান, হাজীগঞ্জে শনিবার ৯টি ঈদের জামাত হবে। এ বিষয়ে আমার লোকজন দায়িত্ব পালন করবেন।