প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২২, ১৯:১৫
স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কিছু স্মৃতি
২০০৯ সালের কথা। আমি তখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য অফিসার - গণসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সে সময় মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদেরসহ প্রায়ই পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা - সাইট পরিদর্শনে যেতেন। পরিদর্শন টিমের সাথে সাইট পরিদর্শনের জন্য স্পিডবোটে করে বহু সময় পদ্মা নদীতে ও পদ্মার চরের বিভিন্ন এলাকায় মিডিয়া টিমসহ যাতায়াত করেছি।
|আরো খবর
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার হিসেবে মিডিয়াকর্মী-সাংবাদিকগনকে পদ্মা সেতু প্রকল্প বিষয়ে সরকারি তথ্য বিবরণী আকারে তথ্য প্রদান এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিক-মিডিয়াকর্মীদের নিয়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ইত্যাদির আয়োজন করা ছিল আমার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি মনে করি সে সময় আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ পালন করতে পেরেছি। পদ্মা সেতু তৈরীর বৃহত্তর কর্মযজ্ঞের প্রাথমিক পর্যায়ে আমি যৎসামান্য অংশ গ্রহণ করতে পেরে নিজকে গর্বিত মনে করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসম সাহস, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও যোগ্য নেতৃত্বে সরকার শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এবং ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। সেই স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধনী দিনে সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে নবদিগন্তের সূচনা হলো তা বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
জয় বাংলা।
লেখক : এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীন।