বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২১, ২০:৫৯

এতিম নামেই যত সমস্যা!

প্রবীর চক্রবর্তী

:

‘এতিম নামেই যত সমস্যা! আর এই এতিম কথাটি শুনলে যে কেউই ভ্রু কুঁচকে যাবে। এতিমদের প্রতি স্বয়ং আল্লাহরই বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। তবে এতিমদের আবার কি হলো। আসলে বাস্তবচিত্রটি হলো এতিমখানা নিয়ে। এতিমখানা নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ:ই এতিম শিক্ষার্থীদের না পেয়ে ন্যুয়ে পড়েছে। লোকজন আজকাল নিজেদের এতিম স্বজনদের এই নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দিতে অনিহা প্রকাশ করছে। যার জলন্ত উদহারণ ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ হযরত আবু কবর ছিদ্দিকী আল-কোরাইশী ও পীর মোসলেউদ্দিন (রা:) এতিমখানাটি। ১৯৯৩ সালে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে এতিম শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ২০ জনে এসে দাড়িয়েছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত বর্তমান ও সাবেক অনেক জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের লোকজন ।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি টিনের ঘর দিয়ে এতিম খানার কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে একটি চারতলা ভবন নির্মিত হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ হযরত আবু কবর ছিদ্দিকী আল-কোরাইশী ও পীর মোসলেউদ্দিন (রা:) এতিমখানায় সুনশান নিরবতা। ঈদের ছুটির কারণে এতিমরা তাদের বাড়ি গিয়েছে। এতিমখানার কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, এই সুযোগে এতিমখানার উন্নয়নমুলক কিছু কাজ হচ্ছে।

এতিম খানার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, ১৯৯৮ সালে তিনি ফরিদগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এতিমখানাটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতিম খানার কমিটিতে বর্তমান মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টর এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক জড়িত রয়েছেন। আমাদের ব্যক্তিগত দান অনুদান এবং সরকারি অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাটি ভরাটসহ ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করে চলেছি। কিন্তু এতিম শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাজে আসছে না।

আশপাশে বেশ কয়েকটি লিল্লাহ বোডিং না দিয়ে প্রতিষ্ঠানে অনেক এতিম রয়েছে। ফলে আমার কাছে মনে হয়েছে ‘এতিমখানা’ নামটিই সমস্যা। শুধু এটি নয় ইসলামপুরে স্থাপিত এতিমখানারও একই অবস্থা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি হেফজুখানা গড়ে তুলবো। একই সাথে এই এতিম খানার পশ্চিম পাশে ৪৫শতক ভুমিতে একটি মহিলা এতিমখানা গড়ে তুলবো। দ্বীনের খেদমতে আমরা আমাদের চেষ্টা চােিলয়ে যাবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়