প্রকাশ : ২১ মে ২০২২, ২০:১৮
৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিমিকে হত্যার পরিকল্পনার মামলায় আসামী আটক
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে শাপলা আক্তার রিমি (২০)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। হত্যাকান্ডের পর কথিত স্বামী শাহপরাণ গাজী (২৭) পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করে।
|আরো খবর
২০ মে শুক্রবার কথিত স্বামী শাহপরাণ গাজী (২৭) কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে হত্যার রহস্য উদঘাটনে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে বলে জানায় পুলিশ।
শাহপরাণ গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পাইকদী গ্রামের শহর আলীর ছেলে। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ মাস পূর্বে রিমি কাজের সন্ধানে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসে এবং শাহ পরাণের সাথে পরিচয় হয়। গত ২০ দিন পূর্বে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দক্ষিণ আশিকাটি গ্রামের এনায়েত পাটোয়ারী বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। কিন্তু প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো বলে জানায় পার্শবর্তীরা। গত ১৬ মে রাতে রিমিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে রেখে চলে যায় বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, শাহ পরাণ রিমির কথিত স্বামী। তাদের কোন বিয়ে হয় নি। কেউ বাড়ি ভাড়া দেয় না বলে কথিত স্বামী স্ত্রী সেজে বাড়ি ভাড়া নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন শাহ পরাণ। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসা ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ আশিকাটি গ্রামের এনায়েত পাটোয়ারী বাড়িতে গত ১৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে খাটের নিচ থেকে শাপলা আক্তার রিমি (২০) নামের গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী শাহ পরান গাজী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, পিবিআই ও সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ও আলামত সংগ্রহ করেন। নিহত শাপলা আক্তার রিমির বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার চরকুমারিয়া গ্রাম। তাঁর পিতা ইদ্রিস আলী।