প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৯
হাজীগঞ্জ এখন ৪ হাজারের অধিক নারী উদ্যোক্তার ই-প্লাটফর্ম
ভার্সুয়াল দুনিয়া এখন মানুষের রামরাজত্ব। সেই রামরাজত্বের একটি অংশ অনলাইন ব্যবসা বা ই-ফ্লাটফর্ম। আর যদি সেই অনলাইন ব্যবসা হয় নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে তাহলে সফলতা বলা চলে শতভাগ। এমনই এক অনলাইনে প্রায় ৪ হাজার নারী উদ্যোক্তার ফ্লাটফর্ম এখন হাজীগঞ্জ। এখান থেকে নারীরা এখন তাদের ব্যবসাকে দিন দিন প্রসারিত করছেন। যা পরিচালিত করছেন ‘হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্ত গ্রুপ’।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্ত গ্রুপ’এর অন্যতমরা হচ্ছে নারী। এরা নিজেদের সংসার সামলিয়ে অনলাইন ব্যবসাতে মনোযোগী হচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সফলতার মূখ দেখছেন। এমনই এক দম্পত্তি হচ্ছেন জাকির হোসেন আনন্দ ও তার স্ত্রী ঝুমানা নূর বিথী। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এবং প্রতিকূলতাকে জয় করে বর্তমানে এই দম্পত্তির সহযোগিতায় ‘হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্ত গ্রুপ’ এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ হাজার নারী আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। জাকির হোসেন আনন্দ তার ‘সিমন রেক্সিন হাউজ, সানিম ব্যাগ হাউজ, আয়াত ও ওমেন্স জোন নামক এই চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্তা গ্রুপকে সফলভাবে পরিচিত করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
তাদের অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগের ফলে সবধরনের দেশী ও বিদেশী বস্ত্র, গয়না, সাংসারিক পণ্য, শিশু খাদ্য,পিঠা, জন্মদিনের কেক, প্রসাধনী বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করেছে। এতে করে মানুষ ঘরে বসেই তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করতে পারছে। অপর দিকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে নারী উদ্যোক্তরা।
হাজীগঞ্জের নারী উদ্যোক্তা নিশু আনোয়ার ও শিউলী আক্তার, চাঁদপুরের লাবন্য সুমী, নোয়াখালীর খাদিজা ও রাজধানীর (ঢাকা) শারমিনের সাথে কথা হলে তারা জানান, তারা সবাই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রোপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু চাকরি নয়, বরং উদ্যোক্তা হিসাবে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এজন্য তারা ‘হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্ত গ্রুপ সহ যত ধরনের ই-ফ্লাটফর্ম রয়েছে, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাজীগঞ্জ নারী উদ্যোক্ত গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জাকির হোসেন আনন্দ জানান, আমার ও আমার স্ত্রীর প্রচেষ্টায় অনলাইন সেবার মাধ্যমে বহু নারী নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। এতেই আমরা খুশি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, পিছিয়ে পড়ে নারীদেরকে আয়ের পথ তৈরি করে দেয়া। আমাদের এই ফ্লাটফর্মের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের পন্য বিক্রি আবার অধিকাংশ উদ্যোক্তা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করছেন। এতে করে তারা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন তারা। আমরা শুধু নারী উদ্যোক্তাদের পন্য ক্রয়-বিক্রয়ে সহযোগিতা করছি না। এর পাশাপাশি আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা, আর্থিক ও মানসিক সহায়তা এবং পণ্য, বাজার ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিণ দিয়ে থাকি।