প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২২, ২০:১৯
অটো রিক্সাচালক জাহাঙ্গীরের বেঁচে থাকাই যেন অন্যায় !
মধ্য বয়স্ক জাহাঙ্গীর। পেশায় ছিলেন অটোরিক্সা চালক। ৬ সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে কিছুটা ভালো চলতে পারতেন। কিন্তু বিধি বাম। প্রায় ৭ মাস আগে হঠাৎ করে এক দুর্ঘটনায় পা হারাতে বসেছেন। চিকিৎসা চলছে না। সংসার চলছে না। অসুস্থ আর বেকার জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাই যেন অন্যায় হয়ে গেছে জাহাঙ্গীরের জীবনে। জাহাঙ্গীর হাজীগঞ্জের ৬ নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত আ. হালিমের ছেলে।
জাহাঙ্গীর জানান,সারাটা জীবন কষ্টে কেটেছে। যেভাবে সম্ভব কাজ করে সংসার চলছেন। কখনো বেকার থাকেননি। প্রথম জীবনে হকারি করতেন। পরে অটোরিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন। প্রায় ৭ বছর আগে জাহাঙ্গীরের অটোরিক্সার সাথে আরেকটি গাড়ির সংঘর্ষ্য ঘটে। এতে পরে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। এর পরে এক এক করে চিকিৎসক দেখিয়ে আর চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন কিন্তু চিকিৎসা তেমন উন্নতি হয়নি। এখন তাকে পায়ে রিং নিয়ে হাটা চলা করতে হয় যাকে এক কথাঢ বলা চলে পঙ্গু।
জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, আমার কর্মজীবনে গত প্রায় ৮টি মাস বেকারত্ব জীবন পার করছি। পায়ে রিং পড়া, ডাক্তার কবে নাগাদ রিং খুলবে তাও জানা নাই। সঠিক চিকিৎসা করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। এদিকে বড় ছেলে আমাদের ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে। পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে বড়ই বিপাকে আছি। আমি কর্মে ফিরতে চাই। চিকিৎসার খরচ পেতে আমি সহযোগিতা চাই।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও স্থানীয় বেলায়েত শাহাজান বলেন, জাহাঙ্গীর একজন কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত কারনে এখন পঙ্গু হয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।