প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:০৮
ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ : আদর্শ রাজনীতিকের প্রতিকৃতি
১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী বিমানবন্দরে সংবর্ধনার অনুষ্ঠান ফেলে রেখে অসুস্থ ওয়াদুদকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। এম এ ওয়াদুদও স্নেহ-ভালোবাসার মূল্য দিতেন। ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্য মোগলটুলীর বাসার নিজে থাকার খাটটি ছেড়ে দিয়ে তিনি মাটিতে ঘুমিয়েছেন অনেকদিন। তিনি ইত্তেফাকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
|আরো খবর
পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে উত্তরণের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্র প্রস্তুত, সমন্বয় সাধন এবং বাঙালির চিন্তা-চেতনাকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সামনে এগিয়ে নেয়ার অন্যতম সংগঠক এম এ ওয়াদুদ ১৯২৫ সালের ১ আগস্ট চাঁদপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার পিতা আবদুল গফুর পাটোয়ারীর ছিল বিপুল ধন-সম্পদ। এম এ ওয়াদুদ দেশের টানে, সময়ের প্রয়োজনে অনেক কষ্ট-ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বর্ষীয়ান সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন- “গায়ে খাকি শার্ট, পরনে খাকি প্যান্ট, মাথায় ফৌজি টুপি। হাতে টিনের চোঙা। রিকশায় বসে সেই চোঙা ফুঁকিয়ে সারা শহরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বেড়াতেন।” (তথ্যসূত্র: ডা. দীপু মনি ও অন্যান্য সম্পাদিত, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ২৯)। ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষা প্রচারে এম এ ওয়াদুদের ভূমিকা ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন-
“প্রথম ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (এখন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ) ও তমদ্দুন মজলিসের নেতৃত্বে। ঐদিন ১০টায় আমি, শামসুল হক সাহেবসহ প্রায় ৭৫ জন ছাত্র গ্রেফতার হই এবং আবদুল ওয়াদুদসহ অনেকেই ভীষণভাবে আহত হয়ে গ্রেপ্তার হয়।’ (তথ্যসূত্র: কারাগারের রোজনামচা, পৃ. ২০৬)।
ভাষা আন্দোলনে এম এ ওয়াদুদ ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতেও গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ছয় মাস জেল খেটেছেন। ভুখামিছিল আন্দোলনের কারণেও ১৯৪৯ সালে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, গণতান্ত্রিক যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এম এ ওয়াদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম কমিটি (১৯৫১) ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদেরও (১৯৫২) সদস্য ছিলেন। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ওয়াদুদও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
মুক্তবুদ্ধি ও সৎ চেতনাসম্পন্ন, নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, হৃদয়বান ওয়াদুদ নিজধর্মে নিষ্ঠ হয়ে অন্য ধর্মের বিষয়ে ছিলেন উদার। আজীবন তিনি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার ছাত্রলীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৩ সালের প্রথম কাউন্সিলে ছাত্রলীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। সে কাউন্সিলে তাকে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
শিল্পী হাশেম খানের মতে, “...বলা যায় প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই তিনি ‘মুসলিম ছাত্রলীগকে’ পুরো অসাম্প্রদায়িক ছাত্রলীগ-এ রূপান্তরিত করেছিলেন।” (তথ্যসূত্র: ড. আবদুল আলীম খান, ভাষাসংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ২০১৯, পৃ. ৪২)।
নির্মল সেন লিখেছেন- “এই অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে ছাত্রলীগকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রেও ওয়াদুদ ভাইয়ের অবদান ছিল বিশাল মাপের। এম এ ওয়াদুদ ছাড়া তখনকার ছাত্রলীগকে ভাবা যেত না।” (তথ্যসূত্র: ডা. দীপু মনি ও অন্যান্য সম্পাদিত, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ১০১)। এম এ ওয়াদু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধেও।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন-
“...ওয়াদুদ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সম্পাদক হয়েছিল। যদিও আমি সদস্য ছিলাম না, তবু ছাত্রনেতারা আমার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। প্রয়োজন মত বুদ্ধি পরামর্শ দিতে কার্পণ্য করি নাই। এরাই আমাকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে শ্রদ্ধা করেছে।” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ. ১২৭) এম এ ওয়াদুদ অনেক গুছিয়ে বলতেন, সম্মোহনী বক্তৃতা দিতেন। শিশুদের প্রতি স্নেহ ছিল তার সহজাত। তিনি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টাও ছিলেন। তার সান্নিধ্যে যারাই গিয়েছেন, তারাই তার নির্মোহ দেশপ্রেমের রাজনীতির প্রশংসা করেছেন।
লোক গবেষক শামসুজ্জামান খান লিখেছেন- “...বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের প্রতি তাঁর গভীর মমত্ববোধ এবং পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর অবিচার-অনাচার-বঞ্চনার সেই পীড়ক শাসকযন্ত্রের হাত থেকে চূড়ান্ত মুক্তিলাভের সংগ্রামে তাঁর নিষ্ঠা ও একাগ্রতা, সর্বোপরি আত্মত্যাগের সংগ্রামে অবিরাম অবিচল থাকা আমাকে তাঁর ‘ভাবশিষ্য-প্রায়’ বানিয়ে ফেলে। আমি তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের একান্ত অনুসারী ও অনুগামী হতে সত্যিকার আগ্রহ বোধ করলাম।...ওয়াদুদ ভাইয়ের মতো নিবেদতপ্রাণ, লোভ-লালসাহীন, অপরিসীম সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী মানুষ আমাদের সমাজে একেবারেই দুষ্প্রাপ্য। তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল প্রখর, তিনি ছিলেন নিরাবেগ, গুছিয়ে কথা বলার এক দক্ষ সংগঠক, কর্মীরা তাঁর যে কোনো উদ্যোগে সাড়া না দিয়ে পারতেন না।” (তথ্যসূত্র: ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ৯৫-৯৬)।
এম এ ওয়াদুদ ছিলেন ত্যাগী, নিঃস্বার্থ ও নির্মোহ রাজনীতিবিদ। তার নীরব, নীরবচ্ছিন্ন নিরলস ভূমিকা এবং নির্মোহের জায়গাটি স্বাতন্ত্র্য। স্থির প্রত্যয় ও গন্তব্য থেকে কেউ তাকে টলাতে পারেনি। এক সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু রাজনীতি ও দেশের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ছাড়েননি।
জিল্লুর রহমান লিখেছেন, “১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেরেবাংলা-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ওয়াদুদ সাহেবকে মনোনয়ন দিতে চেয়েছিল। যুক্তফ্রন্টের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ওয়াদুদ সাহেবকে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পীড়াপীড়ি করেছিলেন, আমরা ও তাঁর সহকর্মীরাও তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি রাজি হননি।” (তথ্যসূত্র: ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ২৩-২৪)।
১৯৭০ সালেও তিনি নির্বাচন করেননি, আবার রাজনৈতিক কর্তব্যকর্মেও পিছপা হননি। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতাহীন হলে মন্ত্রিপরিষদে না থাকা সত্ত্বেও তাকে জেল দেয়া হয়েছিল। ১৯৬২ সালে তার বিরুদ্ধে সামরিক ওয়ারেন্ট জারি হলেও তিনি দেশপ্রেমের রাজনীতি ছেড়ে যাননি।
তোফায়েল আহমেদ লিখেছেন, “বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি কোনোদিন আপস করেননি। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট সপরিবারে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনামলে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন। ৭৮-এ স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের প্রস্তাব তিনি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ফলে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে তিনবার বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।” (তথ্যসূত্র: ড. আবদুল আলীম খান, ভাষাসংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ২০১৯, পৃ. ১১৪)।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা,’ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠেও এম এ ওয়াদুদের রাজনীতির তথ্য জানা যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাকে অনেক পছন্দ করতেন, আন্দোলন সংগ্রামে নির্ভর করতেন। ১৯৪৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় ওয়াদুদ গ্রেপ্তার হলে, বঙ্গবন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। (তথ্যসূত্র: ড. আবদুল আলীম খান, ভাষাসংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ২০১৯, পৃ. ৯২)।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী বিমানবন্দরে সংবর্ধনার অনুষ্ঠান ফেলে রেখে অসুস্থ ওয়াদুদকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। এম এ ওয়াদুদও স্নেহ-ভালোবাসার মূল্য দিতেন। ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্য মোগলটুলীর বাসার নিজে থাকার খাটটি ছেড়ে দিয়ে তিনি মাটিতে ঘুমিয়েছেন অনেকদিন। তিনি ইত্তেফাকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, “...ছোটবেলা থেকে তাঁকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে চিনতাম। ...জাতির পিতার সঙ্গে ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন।...তাঁর অমায়িক ব্যবহারে সকলেই মুগ্ধ হতেন।” (তথ্যসূত্র: ড. আবদুল আলীম খান, ভাষাসংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ২০১৯, পৃ. ২৫)
এম এ ওয়াদুদ আজীবন মুজিবাদর্শের রাজনীতি করেছেন, দুঃসময়-দুর্দিনে সরব থেকেছেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, “১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পরে সারা জাতি যখন দিশেহারা, অসহায়, কেউ যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সাহসী হয় না, তখন আমি জনাব ওয়াদুদের কাছে যেতাম বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য।...ওয়াদুদ ভাই অনেক ভালো কাজ করে গেছেন, তবে সবই নীরবে- বাহবা নেওয়ার মানসিকতা তাঁর মধ্যে ছিল না।” (তথ্যসূত্র: ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ২৬-২৭)। সোনার বাংলা ও সোনার মানুষ গড়ার রাজনীতিক এম এ ওয়াদুদের পুত্র জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ স্বনামধন্য চিকিৎসক এবং কন্যা দীপু মনি খ্যাতিমান চিকিৎসক, আইনজীবী, রাজনীতিক। ডা. দীপু মনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী। তিনি প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।
এম এ ওয়াদুদ সম্পর্কে যতই অধ্যয়ন করি, ততই তার সেবা, দেশপ্রেম ও নির্মোহ রাজনীতি সম্পর্কে আলোকিত হই। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, “আবদুল ওয়াদুদ ছিলেন সেই সব মানুষের একজন যাঁরা অন্তরের প্রেরণায় ও বিবেকের তাড়নায় নিরন্তর কাজ করে যেতেন, কিন্তু কোনো প্রতিদানের আশা করতেন না, এমনকি তাঁর কাজের উপযুক্ত স্বীকৃতি মিলল কিনা, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন হতেন না।” ((তথ্যসূত্র: ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক গ্রন্থ, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, পৃ. ৮৮)। তিনি ছিলেন একসঙ্গে অনেক কিছু: ভাষাসংগ্রামী, লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, অভিভাবক, সংস্কৃতি ও শিশুসংগঠক। তার মূল্যবোধ, পরিমিতি জীবনবোধ, সোনার মানুষ তৈরির দীক্ষা। তার অসাম্প্রদায়িক, আপসহীন, ত্যাগী ও নির্মোহ রাজনীতি অধিক প্রচার করা হলে সোনার বাংলার পথ সুগম হবে। ১৯৮৩ সালের ২৮ আগস্ট ৫৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রয়াণ দিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। লেখক: শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক