শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ১৭:০৬

ফরিদগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা ও নিরাপত্তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা ও নিরাপত্তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরের পরিবারের উপর প্রভাবশালী মহলের মদদে হামলা, মেরে ফেলার হুমকি ও নির্যাতন থেকে রক্ষা এবং নিরাপত্তার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরের ভুক্তভোগী পরিবার। আজ ১০ জুলাই শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরের মা হালিমা বেগম। বয়স ১৬ হলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোর বর্তমানে চুরির মামলায় জেল হাজতে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হালিমা বেগম বলেন, গত ১৩ মে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পুরান রামপুর বাজারের ফ্ল্যাক্সি লোডের ব্যবসায়ী মাসুদ রাঢ়ীর দোকানে ১১ লক্ষ টাকা চুরি হয় বলে অভিযোগ উঠে। ১৭ দিন পর ৩০ মে আমার ১৬ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে নাজমুল হোসেন ফরহাদকে স্থানীয় কিছু যুবক আটক করে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর ওই দিনই চুরির ঘটনায় মামলা হয় । ওই ঘটনায় আমার ছেলে নাজমুল হোসেনসহ তিনজন আটক অবস্থায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। যদিও তাকে মামলায় ১৯ বছর দেখানো হয়েছে, যা মিথ্যা।

গত ১ জুলাই চুরি হওয়া ১১ লক্ষ টাকা আমার পরিবারকে দিতে হবে, না দিলে মেরে ফেলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকিসহ তিনদিনের আল্টিমেটাম দেয় মাসুদ রাঢ়ী ও সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনদিন পর ৪ জুলাই মাসুদ রাঢ়ী তার দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনায় আমিসহ আমার পরিবারের অন্তত ৭/৮জন সদস্য আহত হই।

এ সময় তারা আমাদের মারধর করার ছাড়াও বাড়িঘর ভাংচুর করে। প্রাণে বাঁচতে আমরা চাঁদপুর পুলিশ সুপার, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি এবং সর্বশেষ ৯৯৯ ফোন দেই।

পরে প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা পর পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তী তারা আমার পরিবার ও আবার বৃদ্ধ বাবাকে দুই দফা জিম্মি করে টাকা আদায়ের জন্য। অবশ্য ওই সময় পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করে।

পরবর্তীতে আমরা থানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করলেও অদ্যবদি মামলা দায়ের বা কোন আইনী পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে আমরা ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের পুন: হামলার ব্যাপারে আতংকের মধ্যে রয়েছি।

আমার কিশোর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে যদি অপরাধী হয়, তাহলে শেষ শাস্তি পাবে। কিন্তু আমরা কেনো হামলা ভাংচুরের কারণে শিকার হবো। তাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সাথে সাথে ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে চুরির ঘটনাটিও সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

প্রেসক্লাব সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় হালিমা বেগমের স্বামী ফারুক সর্দার, পিতা বশির উল্ল্যা, মা আশুরা বেগম, ছেলে ইমান হোসেন, আল আমিন সর্দার ও ভাইপো মঈন হোসেন, বোন শিল্পী বেগম উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়