প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২১, ১২:১৯
ফরিদগঞ্জে এক নয়নের কুকর্মে ভুক্তভোগী চার পরিবার
ফরিদগঞ্জে নয়ন দাস (২৭) নামে এক যুবকের অনৈতিক কর্মকা-ের কারণে চারটি পরিবার তছনছ হওয়ার পথে। পরিবারগুলো হলো নয়ন দাসের নিজের পরিবার, তার স্ত্রী সীতারাণী দাসের (২২) বাপের বাড়ির পরিবার, তার মামার পরিবার এবং নয়ন দাসের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ থাকা বড় ভাই অজিত দাসের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দাসের (২০) বাপের বাড়ির পরিবার। ইতিমধ্যে নয়ন দাসের বিরুদ্ধে তার পরকীয়া প্রেমিকা বড় ভাইয়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দাস প্রেমের অভিনয় করে অপহরণ করে ধর্ষণ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় বাদী প্রিয়াঙ্কা দেবর ও পরকীয়া প্রেমিক নয়ন দাস ছাড়া জাঁ নয়ন দাসের স্ত্রী সীতারাণী, তার ভাই লিটন দাস (২৪) এবং মামা আইনজীবী সহকারী পরেশ চন্দ্র দাস (৪৫)কে আসামী করেছে। পুলিশ মামলা দায়েরপূর্বক অভিযুক্ত নয়স দাস, তার স্ত্রী সীতারাণী ও শ্যালক লিটন দাসকে আটক করে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের সুনীল দাসের ছেলে নরসুন্দর নয়ন দাস প্রেম করে ৮ বছর পূর্বে একই বাড়ির দুলাল দাসের মেয়ে সীতারাণী দাসকে বিয়ে করে। আর নয়নের বড় ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী অজিত দাসের সাথে ৩ বছর পূর্বে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণিদুর্গাপুর গ্রামের সাধু দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর অজিত দাস প্রবাসে চলে যাওয়ার পর দেবর নয়নের সাথে প্রিয়াঙ্কার পরকীয়া শুরু হয়। সর্বশেষ দেবর নয়ন দাস গত মে মাসে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রাখালিয়া এলাকার জনৈক আবুল মিয়ার ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। এক সপ্তাহ পর প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে নয়ন বাড়ি ফেরার কথা নিয়ে বাগ্বিত-া হয়। এতে নয়ন দাস ক্ষিপ্ত হয়ে প্রিয়াঙ্কাকে রাখালিয়ায় রেখেই পালিয়ে যায়। নয়ন দাস প্রথমে ঢাকা ও পরে কক্সবাজারে অবস্থান করে। এদিকে প্রিয়াঙ্কা দাস বাড়ি ফিরে এসে নয়ন দাসের সাথে পুনরায় মুঠোফোনে কথা বলে কৌশলে মঙ্গলবার রাতে নয়ন দাসকে তার বাপের বাড়ি হর্ণিদুর্গাপুর নিয়ে আসে। সেখানে তাকে আটকে রেখে বুধবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। পরে প্রিয়াঙ্কা বাদী হয়ে বুধবার রাতে তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের আলোকে নয়ন দাসের স্ত্রী সীতারাণী ও তার শ্যালক লিটন দাসকে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতদের চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
খুরুমখালী গ্রামের লোকজন জানান, মাদকসেবী নয়ন দাসের অপকর্মের কারণে চারটি পরিবার তছনছ হওয়ার পথে। কারণ হিসেবে তারা জানান, ঘটনার সাথে জড়িত নন এমন দুই একজনকে জড়িত করার চেষ্টা চলছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে নয়ন দাস ও অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আটককৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।