আগামী ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কচুয়ার ইউপি নির্বাচন

আগামী ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ২৭ নভেম্বর শনিবার সকালে তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চম ধাপে সর্বমোট ৭শ' ৭টি ইউপিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল ঘোষনা অনুযায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৯ ডিসেম্বর। আপিল ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। নিস্পত্তি ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীরা। এরই মদ্যে প্রার্থীদের দৌড় ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রে লবিং করছেন নৌকা প্রতীকের জন্য। কেউ কেউ ভোটারদের আস্তা কুড়াতে দিনরাত মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।

ইতিমধ্যে তৃনমূল থেকে প্রার্থীতা বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশ মোতাবেক গত ১২ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে তৃনমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা সম্পন্ন করে প্রস্তাবিত প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রেরণ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে ১২টি ইউনিয়নে সর্বমোট ১শ ১১জন প্রার্থী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নাম প্রস্তাব করেন। তাদের মধ্যে সাচার ইউনিয়নে ৭ জন, পাথৈর ইউনিয়নে ৯জন, বিতারা ইউনিয়নে ১১ জন, পালাখাল মডেল ইউনিয়নে ৫ জন, পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে ৯ জন, উত্তর কচুয়া ইউনিয়নে ১৩জন, সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ৮জন, কাদলা ইউনিয়নে ১১ জন, কড়ইয়া ইউনিয়নে ১৪জন, গোহট উত্তর ইউনিয়নে ৮জন, গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে ১১ জন, আশ্রাফপুর ইউনিয়নে ৫ জন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরি সোহাগ জানান- উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে দলীয় সিদ্ধান্ত ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকলের সহযোগিতায় আমরা ১২টি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা সম্পন্ন করেছি। দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড যাচাই বাছাই শেষে যাকে নৌকার মাঝি মনোনীত করবেন আমরা তাদের পক্ষে নৌকা বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করবো।