প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৭
সচেতন জেলে ও সুধীজনের মতামত
জেলে আটক না করে নৌকা জব্দ করলেই জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা শতভাগ সম্ভব
জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা করতে হলে জেলে আটক না করে নৌকা জব্দ করলে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা করা সম্ভব। এমনটাই মনে করছেন সচেতন জেলে ও সুধীজন।
|আরো খবর
সুধীজনরা বলেন, সরকার জেলেদের চাউল, সেলাই মেশিন, গরু ছাগল তো প্রতি বছর দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে কি? যেসব অসাধু জেলে জাটকা নিধনে মেতে উঠেছে, তারাই সরকারের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে । ইলিশের প্রজনন ও পরবর্তীতে জাটকা রক্ষা করতে হলে যতদিন পর্যন্ত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান না হবে, ততদিন জেলেদের জাটকা ধরা বন্ধ করা অসম্ভব। তারা বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় নদীর পাড় এলাকার যেসব ইউনিয়ন রয়েছে সেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের জাটকা রক্ষা অভিযানে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে হবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সম্পৃক্ত থাকলে একজন জেলেও নদীতে মাছ ধরার সাহস করবে না।
তারা আরো বলেন, প্রকৃত জেলে সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। এমন জেলে রয়েছে যাদের জীবন জীবিকা নদীতে মাছ ধরা, কিন্তু তাদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন করা হয় নি। তারা সরকারের জেলে হিসেবে সহায়তা পাচ্ছে না। আবার এমনও দেখা যায়, নদী অথবা পুকুরেও কোনোদিন মাছ ধরে নি, তারা জেলে হিসেবে সরকারের সহায়তা পাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময়ে অসাধু উপায়ে জেলে হিসেবে নিবন্ধন করে ফেলছে। তারা নদীতে যেসব নৌকা দিয়ে মাছ ধরা হয়, সেসব নৌকার নিবন্ধনের মাধ্যমে পুনরায় জেলে সংখ্যা নিবন্ধন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সব ধরনের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মওজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কতোটা মা ইলিশ রক্ষা ও প্রজনন ঘটানো সম্ভব হবে এবং পরবর্তীতে জাটকা রক্ষা কার্যক্রম কতোটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।